বিজ্ঞাপন

গোপীবাগে হামলা ‘সাজানো’, ইসিকে ‘তথ্য-প্রমাণ’ দিয়েছে আ.লীগ

January 27, 2020 | 7:38 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকারাজধানীর গোপীবাগে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারণায় হামলার ঘটনাকে বিএনপিরই পূর্বপরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম। সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলছেন উল্লেখ করে বিএনপির অভিযোগকে তিনি ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, গতকালের ঘটনাটি কমিশনকে অবহিত করতে আমরা এসেছিলাম। তথ্য-প্রমাণ নিয়ে এসেছি। পুরো ঘটনাটি সাজানো ও পূর্ব পরিকল্পিত। বিএনপি ক্যাডাররা এমনভাবে তা করেছে যে তাতে প্রমাণ হয়, তারা আগে থেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর জন্য তৈরি হচ্ছিল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, ২০১৪-১৫ সালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসন্ত্রাসে যারা অংশ নিয়েছিল এবং মামলায় ছাড়া পেয়েছে, তাদের অনেককেই এখন ঢাকা নিয়ে আসা হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে দলগতভাবে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। তারা সুযোগমতো এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে যাতে করে নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়।

এইচ টি ইমাম আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনায় বড় ভূমিকা রাখছে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। তাদেরকেই আনা হচ্ছে ঢাকায়। আমরা কমিশনকে এসব তথ্য দিয়ৈছি। আমাদের অনেকেই আহত হয়ে হাসপাতপালে রয়েছে। বিএনপি প্রার্থী নিজেই অন্যদের ওপর হাত তুলতে যাচ্ছেন, মারতে যাচ্ছেন— এ ধরনের আক্রমণাত্মক সব তথ্য দেওয়া হয়েছে ইসিকে।

ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাসীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের গ্রেফতার করা হোক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ঢাকাবাসীর জীবন রক্ষার জন্য, তাদের নিরাপত্তার জন্য, এ  নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার জন্য, সবার অংশগ্রহণমূলক করার পরিবেশ তৈরি করতে আমরা ইসিকে অনুরোধ জানিয়েছি।

তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে ঢাকার মেয়র মো. হানিফ নির্বাচিত হওয়ার পর ৭ জন নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। এটা তাদের পুরনো চরিত্র— সন্ত্রাসের চরিত্র, অগ্নিসন্ত্রাস, ভোট কারচুপি, বানচালের চরিত্র।

এইচ টি ইমাম বলেন, আমরাই আচরণবিধি মেনে চলছি। এমপি-মন্ত্রীরা প্রচারণায় যাচ্ছেন না। রিটার্নিং অফিসার দেখভাল করছেন। আগামীকাল থেকে নির্বাহী হাকিম বাড়বে। আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন