বিজ্ঞাপন

নির্বাচন সামনে রেখে গুণ্ডা বাহিনী জড়ো করছে বিএনপি: কাদের

January 28, 2020 | 6:08 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কেন্দ্র দখলসহ নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষুন্ন করতে রাজধানীর বাইরে থেকে অস্ত্রধারী, গুণ্ডা বাহিনীকে জড়ো করা হচ্ছে। নির্বাচনের দিন এদের দিয়ে সশস্ত্র মহড়া দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর মধ্যে জানা যাচ্ছে বহিরাগত অস্ত্রধারীদের ঢাকায় এনে জড়ো করা হচ্ছে। নির্বাচনী কেন্দ্র দখলের জন্য তারা (বিএনপি) পাঁয়তারা করছে। বাইরের গুণ্ডাদের এখানে ইলেকশনের পরিবেশ ক্ষুণ্ন করা,এমনকি নির্বাচনের দিন সশস্ত্র মহড়া দেওয়ার বিষয়টি তারা প্লান করে রেখেছে।’

বিষয়গুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের উদ্বেগের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা এগুলো নির্বাচন কমিশনকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছি। সেই সঙ্গে বলেছি শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং কর্তৃত্বপরায়ণ অবস্থান থেকে নির্বাচন পরিচালনা করার সকল স্বাধীনতা এবং সুবিধা দিতে প্রস্তুত।

বিএনপির এমন অবস্থানে নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই দ্বিতীয় দায়িত্বশীল নেতা। তিনি বলেন এই যে তারা সশস্ত্র ব্যক্তিদের ঢাকায় এনে জড়ো করছে, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তল্লাশি করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশন যদি একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চান তাহলে তাদেরকে সেরকম পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। এ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

সিটি নির্বাচনে বিদ্রোহীদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্য নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষুণ্ন হচ্ছে, এমন খবর কি এখন পর্যন্ত আছে? আমরা ইন্টার্নালি বিষয়গুলো দেখছি। এগুলো আমাদের উপর ছেড়ে দিন। এটা আপনাদের (সাংবাদিক) বিষয় নয়, এটা আমাদের বিষয়। আমাদের ডিসিপ্লিনারি কমিটি আছে, তারা সেগুলো দেখবে। বিদ্রোহীদের কারণে নির্বাচনী পরিবেশ যখন নষ্ট হচ্ছে না, তখন বিষয়গুলো আমাদের উপর ছেড়ে দেন।

বিজ্ঞাপন

সম্পাদকমণ্ডলীর আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকীয় উপ কমিটিগুলো গঠন করে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা, থানা কমিটিগুলোর কাউন্সিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে বিশিষ্টজনদের লেখা নিয়ে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। এছাড়া সারাদেশের তৃণমূলের প্রবীণ নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

তার আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সম্পাদকমন্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক আয়েশা ওয়াসিকা খানম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/জেএএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন