বিজ্ঞাপন

রাজউকে ঘুষ ছাড়া সেবা পাওয়া বিরল: টিআইবি

January 29, 2020 | 7:03 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে ঘুষ ছাড়া সেবা পাওয়া বিরল ঘটনা বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, বিষয়টি এমন যে রাজউক ও দুর্নীতি একাকার ও সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) টিআইবি আয়োজিত ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাজউক নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (গবেষণা ও পলিসি) ফাতেমা আফরোজ ও ফারহানা রহমান।

টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজউক থেকে ঘুষে ছাড়া কেউ সেবা পেয়েছেন— এমন ঘটনা বিরল। রাজউকের সঙ্গে ঘুষ বাণিজ্য এমনভাবে জড়িত যে রাজউক কর্মকর্তা, এক শ্রেণির দালাল এবং যারা সেবাপ্রার্থী, তাদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে চুক্তি করে ঘুষ নেওয়া হয়। কেউ এই মাধ্যমে না গেলে সেবা মেলে না। বিষয়টি এমন যে রাজউক ও দুর্নীতি একাকার ও সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজউক একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে জনগণ ঘুষ ছাড়া ন্যূনতম সেবাটুকু পায় না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বদলে রাজউকে দুর্নীতি ও অপব্যবস্থা বিরাজ করছে। রাজউক নিজেই উন্নয়ন পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও নিয়ন্ত্রকের কাজ করে। ফলে নিজেই রক্ষক ও ভক্ষকের ভূমিকায় রয়েছে রাজউক।

সম্মেলনে রাজউক নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবনের ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন, বাস্তবায়ন, ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র, রাস্তা প্রশস্ত করা, বড় প্রকল্প অনুমোদনসহ যেকোনো সেবা নিতে গেলেই রাজউকে ঘুষ দিতে হয়। দুর্নীতি ছাড়া সেবা পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয় রাজউকের অভ্যন্তরীণ বিষয়, যেমন— পদায়ন, পদোন্নতিসহ এসব ক্ষেত্রেও দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাজউক থেকে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র, নকশা অনুমোদন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেবা নিতে গেলে ব্যক্তি পর্যায়ে দুই হাজার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা, আর প্রতিষ্ঠান (ডেভেলপার বা আবাসন ব্যবসায়ী) পর্যায়ে দুই হাজার থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। ১০ তলার বেশি ভূমি উন্নয়নের জন্য ছাড়পত্রবাবদ ঘুষ দিতে হয় ১০ লাখ টাকা। নকশা অনুমোদনের জন্য রাজউক কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে ঘুষ দিতে হয় পাঁচ হাজার থেকে এক লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন