বিজ্ঞাপন

‘নির্বাচনের একদিন আগে গণমিছিল আচরণবিধির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন’

January 30, 2020 | 2:08 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচনের একদিন আগে শহরজুড়ে গণমিছিল করলে তা নির্বাচনি আচরণবিধির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন হবে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

ঢাকার দুই সিটিতে ভোট গ্রহণের একদিন আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ৩ টায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাজধানী জুড়ে গণমিছিল আয়োজন করতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার মিছিলের নগরীতে পরিণত হবে ঢাকা

বিজ্ঞাপন

সেদিকে  ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটের আগে আওয়ামী লীগ  এ রকম একটা প্রোগ্রাম তৈরি করে এটাই প্রমাণ করেছে যে, তারা এই ভোটকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। এটা নির্বাচনের আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ব্যাপারে আমরা লিখিত অভিযোগ জানালে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা হতে বাধা নেই।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের মনে ইতোমধ্যেই একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা যেখানে গেছে, তাতে করে কেউ কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে না।নির্বাচন কমিশন, সরকার সর্বোপরি ক্ষমতাসীন দলের আচরণে এ বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে উঠছে।’

‘যেহেতু এটা জাতীয় নির্বাচন নয়, এ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে না, সেহেতু জনগণের মনে একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল যে, নির্বাচন কিছুটা হলেও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশন যে সুনাম হারিয়েছে, সেটি উদ্ধার করার জন্য হলেও একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন তারা দেবে। আমরাও এমনটি ভেবে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের সঙ্গে আমরা গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি, এতোটুকু তাদের রংয়ের কোনো পরিবর্তন হয়নি’- বলেন মির্জা ফখরুল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতা, উদাসীনতা এবং সরকারের নির্দেশ ছাড়া যে তাদের কাজ করার কোনো শক্তি নেই, এ নির্বাচনেও সেটা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। হাজারও নির্বাচনবিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ করা হয়েছে, এ বিষয়ে তারা কোনো রকম কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ঢাকার দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থী ক্রমাগত আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, রঙ্গিন পোস্টার ছাপাচ্ছেন, ফুটপাতে ক্যাম্প স্থাপন করছেন, সর্বপরি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যেসব মন্তব্য করছেন, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, সিটি নির্বাচনের পরিবেশ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দিকেই যাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন