বিজ্ঞাপন

‘চীন অনুমতি দিলে এক ফ্লাইটে আসবে ৩৭০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী’

January 30, 2020 | 6:08 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চীনে অবস্থানরত ৩৭০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। চীন সরকার অনুমতি দিলে প্রয়োজনে বিমান পাঠিয়ে এক ফ্লাইটে করে তাদের দেশে নিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন দুই দিনের বিডিএফ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উহানে আমাদের অনেক ছেলেমেয়ে আছে। সাধারণভাবে যেটা হচ্ছে, ছেলেমেয়েদের কেউ অসুস্থ হলে চীন সরকার তাদের চিকিৎসা দেবে। আর আমরা এখানে মোটামুটিভাবে রেডি আছি। উহান থেকে তাদের বাসে করে এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে। চীন থেকে আমাদের ৪১৯ জনের কমার্শিয়াল ফ্লাইট আছে। চীন সরকার অনুমতি দিলে আমরা প্রয়োজনে সেই ফ্লাইট পাঠিয়ে দেবো। এক ফ্লাইটে তারা সবাই চলে আসবে। চীনারা সময় দিলেই আমরা ফ্লাইট পাঠাব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনে আমাদের ছেলেমেয়েরা আছে। ওদের ৩৭০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ২২টি প্রতিষ্ঠানে ওরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ওদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ওরা আসতে চাইলে আর চীন সরকার অনুমতি দিলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ওদের নিয়ে আসব।

বিজ্ঞাপন

চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি তাহলে সম্পূর্ণভাবে চীন সরকারের ওপর নির্ভর করছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের ওপরই নির্ভর করছে। তবে শুধু সেটাই নয়, অনেক শিক্ষার্থীও আপাতত আসতে রাজি নয়। ১৫ জন শিক্ষার্থী বলেছে, তারা দেশে এসে অসুস্থ হলে তা দেশের জন্য অমঙ্গলের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই তারা দেশে আসতে চায় না। তবে চীন সরকারের অনুমতি পেলে দেশে ফিরতে আগ্রহী সবাইকে নিয়ে আসা হবে।

চীন থেকে শিক্ষার্থীদের ফেরানো হলে তাদের মাধ্যমে দেশে করোনাভাইরাস প্রবেশ করার আশঙ্কা থেকে যায় কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ওদের দেশে ফিরিয়ে আনা হলে আমরা আলাদাভাবে রাখব, পর্যবেক্ষণ করব। আমরা তো তাদের জন্য আলাদা দ্বীপের ব্যবস্থা করতে পারব না, তবে আমরা হাসপাতালে রাখব।

মন্ত্রী আরও বলেন, ছেলেমেয়েদের দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমাদের। দেশে ফেরার পর তাদের রাখার দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। দেশের হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। তারা ফিরলে কোন হাসপাতালে রাখা হবে, সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে।

বিজ্ঞাপন

চীন থেকে অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের নিয়ে যাচ্ছে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আবদুল মোমেন বলেন, শুনেছি কোনো কোনো দেশ তাদের কূটনৈতিকদের নিয়ে গেছে। সেই ফাঁকে তারা অন্য কাউকে নিয়ে গেছে কি না, সেটা জানি না।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত চীন ভ্রমণে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা আতঙ্কিত হতে চাই না।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন