বিজ্ঞাপন

‘৬৩ কারখানা বন্ধ, কাজ হারিয়েছেন সাড়ে ৩২ হাজার পোশাক শ্রমিক’

February 5, 2020 | 7:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: ২০১৯ সালে তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র অধীন ৬৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই খাতের সাড়ে ৩২ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন বলে সংসদে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গত বছরে বিজিএমইয়ের অধীন ৬৩টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এ কারণে ৩২ হাজার ৫৮২ জন শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। তবে নিটওয়্যার খাতের কারখানার মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র অধীনে কোনো কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়নি।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) টেবিলে উত্থাপিত সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বেগম শামসুর নাহারের এক মৌখিক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী সংসদকে এসব তথ্য জানান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে সংসদের মুলতবি অধিবেশন শুরু হয়।

লিখিত প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিকেএমইএ’র সদস্য ২২শ কারখানার মধ্যে ৯২০টি সদস্যপদ নবায়ন করেছে। বাকি ১২৮০টি কারখানা সদস্যপদ নবায়ন করেনি। সেগুলো বন্ধ থাকতে পারে। রফতানি আদেশ পাওয়াসাপেক্ষে কারখানাগুলো ফের সক্রিয় হতে পারবে।

বিজ্ঞাপন

সংরক্ষিত সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, চাকরি হারানো শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তৈরি পোশাক খাতে ভবিষতে কাজ করবে— এমন জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টিও পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল ২৩ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিন টন। উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সময়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের মানের ভিন্নতা অনুযায়ী ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যায়। খাওয়ার অনুপযোগী পেঁয়াজ বাদ দিলে নিট উৎপাদন ১৫ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন। ফলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন।

মন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে বীজ উৎপাদিত পেঁয়াজ সংগ্রহের মৌসুম। মৌসুম শুরু হলে সরবরাহ বাড়বে এবং পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হবে।

বিজ্ঞাপন

সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে আরও ছয়টি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির সদস্য। এছাড়া ৯টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে— আফগানিস্তান, ভুটান, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা।

মমতা হেলা লাভলীর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের ২২ শতাংশ যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন— এমন তথ্য সঠিক নয়।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন