‘দুর্নীতিবাজদের পক্ষে দেশের লোক থাকে না’

স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুর্নীতিবাজদের পক্ষে দেশের লোক থাকে না।’

তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছেছেন, তার ধারে কাছে যাওয়ার ক্ষমতা বিএনপির নেই। দুর্নীতিবাজদের পক্ষে বাংলাদেশের জনগণ যাবে না। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিদিন লাখো ভোট বাড়ছে, আর দুর্নীতির জন্য বিএনপির লাখো ভোট কমছে।’

রাজধানীর গুলিস্তানের শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওরা যত বেশি কথা বলবে বিএনপির তত বেশি ভোট কমবে। মওদুদ আহম্মেদ ও রিজভী এই দুইটা যত বেশি কথা বলবে বিএনপির ভোট তত বেশি কমবে। এ জন্য আমরা বলি এরা অন্যায় করুক, অপরাধ করুক, যত বেশি বাজে কথা বলুক এদেরকে গ্রেফতার করার দরকার নেই, এরা বাইরেই থাক।’

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “বিএনপিতে দুই-তিনটা প্যাথলজিক্যাল লায়ার আছে। এরা ঘরে থাকে, ঘরে বসে বসে ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছে। দেখুন, তারা বলে দেশে গনতন্ত্র নাই। গণতন্ত্রের স্বাধীনতা যদি না থাকত, মিডিয়ার স্বাধীনতা যদি না থাকত তবে ফখরুল, মওদুদ, রিজভীরা আজকে যেইসব গালিগালাজ করছে। আদালতের বিচারককে ‘প্রতারক’ বলে, এর পরেও তারা ঘরে আছে। তাদের কেউ কিছু বলছে না!”

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এরা বাইরে থাকলে আওয়ামী লীগের জন্য ভালো। এদের বাজে বাজে কথাগুলো জনগণ থেকে বিএনপিকে সরিয়ে দিচ্ছে। আর বিএনপির বড় বড় কথার জবাব দিব জনগণের শক্তি দিয়ে।”

আওয়ামী লীগ সংকট মুক্ত নয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১/১১ এ আওয়ামী লীগ আপস করেনি বলেই আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে তৎকালীন সরকার বাধ্য হয়েছিল জেল থেকে মুক্তি দিতে। সু-সময় আমাদের জীবনে খুব বেশি সময়ের জন্য আসেনি। ক্ষমতায় থেকেও আমরা যে সু-সময়ে আছি এ কথা বলা যাবে না। এখনো মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখি।’

তিনি বলেন, ‘এখনো আমরা যে সংকট মুক্ত সে কথা দাবি করা যাবে না। এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু আমাদের শক্তি হচ্ছে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তার সময়ে দেশের উন্নয়ন ও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের জনগণ এতটাই খুশি যে বাংলাদেশের জনগণ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’

জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর পৃষ্টপোষক বিএনপি এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে খোলামেলা রাজনীতিতে যারা বিরোধিতা করছে এই অপশক্তি তাদেরই বন্ধু। এই অপশক্তি তাদেরই দোসর। এই অপশক্তিকে পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছে বাংলাদেশে যে দলটি আজ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমন কোনো ইতিহাস নেই স্বাধীন বাংলাদেশে বিচার বিভাগ যেখানে স্বাধীন, সেখানে বিচার বিভাগের একটি রয়েকে কেন্দ্র করে। যেভাবে তারা তাণ্ডব চালাচ্ছে। বাংলাদেশের যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে পর্যন্ত হামলা চালিয়েছে।’

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন না অশান্তির ক্ষেত্র সৃষ্টি করছে এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেই দল হাই কোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যানে হামলা করেছে। তারা যখন বলে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি— এটা কি কারো বিশ্বাস হয়? এই বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে? আমরা (আওয়ামী লীগ) আগের চেয়ে সতর্ক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও আগের চেয়ে তৎপর। যেই কারণে এই অপশক্তি সাহস পাচ্ছে না। ওই হাইকোর্টের সামনে ন্যাক্কারজনক ঘটানোর পুনরাবৃত্তির সাহস তাদের নেই।’

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে মতবিনিময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

সারাবাংলা/এমএমএইচ/আইজেকে