বিজ্ঞাপন

ইতিহাস গড়তে দুপুরে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ

February 9, 2020 | 9:00 am

স্পোর্টস ডেস্ক

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে মোট ১২টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে ক্ষুদে টাইগাররা। তবে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখর ছোঁয়া হয়নি কখনোই। তবে এবার সেই সম্ভবনার সামনে টিম টাইগার। অবশ্য কেবল অনূর্ধ্ব-১৯ দল বললে অনেক বড় ভুল বলা হবে। আইসিসি’র আয়োজিত যেকোনো টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ফাইনালে বাংলাদেশ দল। যা করে দেখাতে পারেনি সাকিব-তামিম-মুশফিকরাও। আর সেই ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যেই পচেফস্ট্রুমে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।

বিজ্ঞাপন

এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলাদেশ দলের সেরা সাফল্য ছিল ২০১৬ সালে ঘরের মাঠে তৃতীয় স্থান জয় করা। সে বার সেমি ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে স্বপ্নের ফাইনাল খেলা হয়নি টিম টাইগারদের। তবে এবার শক্তিশালী প্রতিপক্ষদের টপকেই ফাইনালে উঠে এসেছে আকবর আলীর নেতৃত্বের দলটি।

তবে ফাইনালে লড়াই এই টুর্নামেন্টের সব থেকে সফল দলটির বিপক্ষে। বিরাট কোহলিদের উত্তরসূরীরা এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টটি জিতেছে মোট চারবার। আর সেই সঙ্গে বর্তমান চ্যাম্পিয়নও এই দলটিই। আর তাদের বিপক্ষেই লড়াইয়ে নামবে মাহমুদুল হাসান জয়, তাওহিদ হৃদয়রা।

বিজ্ঞাপন

শেষবার ক্ষুদেদের বিশ্বকাপে দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৮ সালে। কোয়ার্টার ফাইনালে সেবার অবশ্য শেষ হাসিটা হেসেছিল ভারতই। বিশ্বকাপের পর দু’দল মোট ৭বার মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছে, যার মধ্যে দু’টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। আর জয়ের পাল্লা ৪-১ ব্যবধানে ভারি ভারতেরই। শেষবার বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে।

প্রিয়াম গ্র্যাগদের হারাতে না পারলেও শক্ত লড়াই উপহার দিয়েছে টিম টাইগার। আর তাই তো ফাইনাল যে সমানে সমান লড়াই হবে তা বেশ পরিস্কারই বলা চলে। দু’দলই নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচ জিতেছে।

বিজ্ঞাপন

সেমি ফাইনালে বাংলাদেশ দল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে সেমি ফাইনালে জায়গা করে নেয়। এরপর সেমি ফাইনালে শক্তিশালী নিউ জিল্যান্ডকে পাত্তাই দেয়নি টিম টাইগার। মাহমুদুল হাসান জয়ের শতকে ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে কিউইদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে আকবর আলীরা।

আর অন্যদিকে ভারতীয় দল কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে আর সেমিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। আর নিজেদের পঞ্চম শিরোপার দিকে এক ধাপ এগিয়ে যায়।

তবে এবার লড়াইটা বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা দলের বিপক্ষে। এই দলের দিকে নজর দিলে দেখা মেলে তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয় আর মাহমুদুল হাসান জয়ের দিকে। ব্যাট হাতে যারা দেখিয়েছেন তারা কতটা ভয়ংকর। তাওহিদ হৃদয়ের চোখ তো অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে নাম লেখানো। আর চলতি বিশ্বকাপে ৫৮ দশমিক ৬৬ গড়ে ১৭৬ রান তুলেছেন মাহমুদুল হাসান জয়।

বিজ্ঞাপন

ঠিক একইভাবে টাইগার বোলাররাও কম যাননা। টাইগার এই দলটিতে আছেন শরিফুল ইসলামের মতো পেসার আর রাকিবুলের মতো ঘূর্ণি জাদুকর। বিশ্বকাপের মঞ্চে এসে যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে শরিফুল-রাকিবুলরা। নিজেদের দিনে যেকোনো ব্যাটসম্যানদের বুকেই কাঁপন ধরিয়ে দিতে পারদর্শী এই বোলাররা।

ভারতীয় দলও অবশ্য কম যায়না। দলে জশভি জাইসওয়ালের মতো ব্যাটসম্যান রয়েছেন, যে কিনা একাই ঘুরিয়ে দিতে পারেন একটি ম্যাচের মোড়। সেই সঙ্গে আরও আছেন কার্তিক ত্যাগির মতো বোলার। টুর্নামেন্ট জুড়ে নিয়মিতই যাকে দেখা গেছে গতির ঝড় তুলতে। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে নিয়মিতই করেছেন ১৩৫ কিলোমিটার গতির বল। সেমি পর্যন্ত নামের পাশে যোগ করেছেন ১১টি উইকেট যেখানে ইকোনমি রেট মাত্র ৩ দশমিক ৫। আর প্রতিটি উইকেট তুলে নিতে বল করেছেন মাত্র ১৮ দশমিক ৭টি। তাই তো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন তিনি।

পচেফস্ট্রুমের যে উইকেটে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার সেমি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই উইকেটেই ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে পাকিস্তান দল ২০০ রান ছুঁতে না পারলেও উইকেটটা ব্যাটিং সহায়ক বলেই দাবী আয়োজকদের।

বাংলাদেশ সম্ভাব্য একদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, তাওহিদ হৃদয়, শাহাদত হোসেন, শামিম হোসেন, আকবর আলী (অধিনায়ক), রাকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব এবং হাসান মুরাদ।

ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: ইয়াশভি জাইসওয়াল, ডিভ্যানাশ সাকসেনা, তিলক ভার্মা, ধ্রুব জুরেল, প্রিয়াম গ্র্যাগ (অধিনায়ক), সিদ্ধেশ ভীর, আথারভা অ্যানকোলেকার, রবি বৈশ্ন্য, শুশান্ত মিশরা, কার্তিক ত্যাগি এবং আকাশ সিং।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন