বিজ্ঞাপন

বিনা উসকানিতে হামলা করেছে পুলিশ : ফখরুল

February 24, 2018 | 12:13 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নয়াপল্টনে বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা ‘উসকানিতে’ আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

পুলিশি বাধায় দলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ‘কালো পতাকা প্রদর্শন’ পণ্ড হওয়ার পর শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ফখরুল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আক্রমণ চালিয়ে তারা আবার প্রমাণ করল, দেশ এখন দুর্বিনীত দুঃশাসনের করালগ্রাসে। গণতন্ত্রের শেষ নিশানাকে নি:চিহ্ন করার জন্যই সরকার এই অগণতান্ত্রিক ও দমনমূলক পন্থা অবলম্বন করেছে।

বিজ্ঞাপন

ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করবার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে চেয়েছিলাম। সরকার আমাদের সেই জনসভা করতে দেয়নি। এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয়ভাবে সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম— মাত্র এক ঘণ্টার জন্য।

‘সেটা ছিল একেবারেই শান্তিপূর্ণ। অর্থাৎ কোনো রাস্তা ব্লোক না করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে আইন-শৃ্ঙ্খলা বাহিনী আমাদের কর্মসূচিতে অতর্কিত হামলা করে। আমি এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তার কোনো সদুত্তর না দিয়ে পুলিশ বেধরক লাঠি-পেটা শুরু করে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও সমালোচনাকে সরকার বিপজ্জনক মনে করছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কালো পতাকা প্রদর্শনের শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য মহিলা ও পুরুষ নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘রঙ্গিন পানিতে আমাকেসহ দলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত অসংখ্য নেতাকর্মীদের সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দিয়ে লাঠিচার্জ করতে থাকে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরে পুলিশ বিএনপি অফিস লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ছুঁড়লে কার্যালয়ের ভেতর হিটলারের গ্যাস চেম্বারের মতো দম বন্ধ করা বীভৎস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’

‘আইনের শাসন ও আওয়ামী লীগ একসাথে চলতে পারে না’ মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘তাই গণতন্ত্রের দাবিতে বিরোধী দলের আওয়াজ শুনলেই উত্তেজিত বাতিকগ্রস্তদের ন্যায় আদিম উল্লাসে সরকারি বাহিনী গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সংবিধানে বলা হয়েছে-প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু আসলে এখন বাস্তবতা হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের ক্ষমতার মালিক আওয়ামী লীগ ও তাদের সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ অহমদ, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এয়ারভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন