মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাদরাসায় হবে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে নির্বাচিত মাদরাসাগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন সব মাদরাসায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যও এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মোছা. শামীমা আক্তার খানমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করে এবং বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সমমানের উচ্চশিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষতায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উচ্চ শিক্ষায় গবেষণায় এসব অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সরকারদলীয় আরেক সংসদ সদস্য মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে গতিশীল ও স্থায়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযুক্ত, সুশিক্ষিত ও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।

তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এবং অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের দশম শ্রেণি পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনা বেতনে অধ্যয়ন এবং প্রতিবছর পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করার নির্দেশনা রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন বাবদ এক হাজার ৫০ টাকা হারে (চলতি বছরে এক হাজার ৩৫০ টাকা) আদায় করেছে। তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফেরত দেওয়ার জন্য ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে স্মারকপত্র মূলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অন্য এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী দীর্ঘদিন একই জায়গায় কর্মরত সরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের বদলি বা পদায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি বা পদায়নের কোনো নীতিমালা নেই।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর