বিজ্ঞাপন

বিশ্বজয়ী আকবরদের জন্য বিসিবি’র ‘আনলিমিটেড ফান্ড’

February 12, 2020 | 10:16 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ অ-১৯ দল বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পরদিনই বিসিবিতে এসে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা আছে। তারা দেশে ফিরলেই তা জানানো হবে। কিন্তু কি সেই পরিকল্পনা? ক্রীকেটাঙ্গনের অনেকেই এ নিয়ে বিস্তর ভেবেছেন। কিন্তু কূলকিনারা করতে পারেননি। অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন খোদ বিসিবি সভাপতি নিজেই।

বিজ্ঞাপন

জানালেন, তাদের আরো শক্তিধর দল হিসেবে গড়ে তুলতে তৈরী করা হবে অ-২১ দলের একটি ইউনিট। যেখানে আগামি দুই বছর তাদের নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হবে। এবং এই দুই বছর তাদের জন্য বিসিবি’র তহবিল থাকবে অফুরন্ত। যখন যা প্রয়োজন হবে সবই লাল সবুজের এই প্রশাসন যোগান দেবে। এবং এই সময়টিতে বিশ্বকাপের এই ১৫ সদস্যের দলটিকে কোন কিছু নিয়ে ভাবতে হবে না।

এখানেই শেষ নয়। আগামি দুই বছর অ-২১ দলের ইউনিটে থাকাকালীন তাদের প্রতি মাসে এক লাখ টাকা করে বেতন দেওয়া হবে বলে জানান বিসিবি বস।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাপন একথা জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘ওদের কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করার কারণ নেই। আর্থিক দিক না শুধু সুযোগ-সুবিধাও পর্যাপ্ত থাকবে। তারা শুধু খেলাধুলায় মনোনিবেশ করুক। আগে যেটা হতো কেউ কেউ হয়ত হাই পারফরম্যান্সে (এইচপি) যেতে পারত। তাছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ এর পর অনেকেই হারিয়ে যেত। আমরা ঠিক করেছি অনূর্ধ্ব-২১ ইউনিট গঠন করব ওদেরকে নিয়ে। এই দলটা আরও দুই বছর একদম স্পেশালাইজড ট্রেনিং করে স্কিলড হবে। দুই বছর প্রত্যেকে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা করে পাবে। দুই বছরের চুক্তি। এরপর নবায়ন করা হবে। যদি ভালো করে এটা চলবে। যদি দেখি কেউ উন্নতি করছে না সে চুক্তি থেকে বাদ পড়বে।’

‘যত রকমের সুযোগ-সুবিধা দেয়া দরকার। যত ভালো যা আছে তা করব। যাতে উন্নতি করতে পারে, বোর্ড তাদের পেছনে ব্যয় করবে। যত লাগে, ফান্ড আনলিমিটেড। আমরা চাই ২ বছর পর ওরা পরিণত হোক আরও। যাতে জাতীয় দলে ঢোকার পথটা অনেক সহজ হয়ে যায়।’

এর পেছনে উদ্দেশ্য একটিই-যাতে করে তারা তাদের পূর্বসূরীদের মতো হারিয়ে না যান। যাতে করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জাতীয় দলের জন্য কোয়ালিটি প্লেয়ার খুঁজতে আর অতশী কাচের সহায়তা নিতে না হয়।

বিজ্ঞাপন

কেননা অতীতেও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এদেশে এমন প্রতিভান ক্রিকেটারদের দেখা গিয়েছে। সেই গণ্ডি পেড়িয়ে অনেকেই নিজেকে কক্ষপথে রাখতে পেরেছেন। সাফল্যের সিড়ি ডিঙিয়ে আজ তারা জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আবার অনেকেই হয়েছেন কক্ষচ্যুত। এতে করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও যারপরনাই ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। জাতীয় দলে আজ কোয়ালিটি প্লেয়ার খুঁজতে টিম ম্যানেজমেন্টকে অতশী কাঁচের সহায়তা নিতে হয়। অতি গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়টি ভোলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সঙ্গত কারণেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের হারাতে চাইছে না বিসিবি। তাইতো বিসিবি বসের এমন উদ্যোগ।

সারাবাংলা/এমআরএফ/জেএইচ

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন