February 13, 2020 | 3:17 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত অনেক নেতা ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাব রেখে চলছেন। তারা বিজেপি ও কংগ্রেসসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন নিয়ে হাজির হচ্ছেন লোকসভা কিংবা বিধানসভাতে।
ভারতের সুপ্রিমকোর্ট এবার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন। আদালত জানিয়েছেন, বিতর্কিত এসব প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে চাইলে পার্টির ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদপত্রে তাদের বিষয়ে বিবরণ ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি রোহিন্টন নর্মন ও এস রবীন্দ্র ভাটের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে জানান, এ ধরনের প্রার্থীর নমিনেশন দাখিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১টি স্থানীয় পত্রিকা, ১টি জাতীয় পত্রিকা, ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করতে হবে।
এরপর ওসব তথ্যে সম্মতি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দলগুলোর রিপোর্ট দিতে হবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। আদালতের নির্দেশ না মানলে রাজনৈতিক দলগুলো মামলার মুখে পড়বে।
প্রার্থীর বিরুদ্ধে কি ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে অথবা মামলা হয়েছে কি না সেসব প্রকাশিত ওই তথ্যে থাকতে হবে। এছাড়া ব্যাখ্যা করতে হবে কেন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হলো।
এছাড়া, আদালত পরামর্শ দিয়েছেন, যেকোনো প্রার্থীর নির্বাচনে জয়ের সম্ভাব্যতা না বিচার করে তার যোগ্যতাকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমলে নেওয়ার জন্য।
প্রসঙ্গত, আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় এবং আরও কয়েকজনের দায়ের করা আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছেন আদালত। এর আগে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে, পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে গুরুতর অপরাধে জড়িতদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং দলীয় কর্মকর্তা হওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য আইন করার পরামর্শ দিয়েছিল।
সারাবাংলা/এনএইচ