বিজ্ঞাপন

‘চিঠি অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের জন্য, বাকি প্রশ্ন অবান্তর’

February 15, 2020 | 12:30 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের কাছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেছেন, ‘কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিএসএমএমইউ’র ভাইস চ্যান্সেলরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাকি প্রশ্নগুলো অবান্তর।’

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুযারি) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কর্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের  সঙ্গে টেলিফোনের আলাপের বিষয়ে কোনো জবাব পাওয়া গেছে কি না?— এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘উনি (ওবায়দুল কাদের) কী বলেছেন, এটা উনাকে জিজ্ঞাসা করলে, উনাকে বললে বেটার হবে। এখন কথা একটাই— দেশনেত্রীর শরীরের যে অবস্থা, তার স্বাস্থ্যের যে গুরুতর অবনতি, তাতে এই মুহূর্তে অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দরকার। সে জন্যই তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

‘এখন এগুলো নিয়ে অন্য কোনো রাজনীতি না করে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, ম্যাডামের মুক্তির দাবি নিয়ে গত দুই বছর ধরেই আমরা কোর্টে যাচ্ছি, কথা বলছি, রাস্তায় নামছি, চিৎকার করছি। দেশবাসী এই মুহূর্তে ম্যাডামের মুক্তির দাবি করছে। একইসঙ্গে আজকে তার (খালেদা জিয়া) পরিবারও করছে।’

আবার খালেদার জামিন আবেদন

আগামী সাপ্তাহে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবার আবেদন করবেন তার আইনজীবীরা। স্থায়ী কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এই কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা আবার ম্যাডামের জামিনের দরখাস্ত করব। আশা করি, অন্তত দেশবাসীকে আমাদের হাইকোর্ট বিভাগ এমন একটি ইঙ্গিত দেবেন যে দেশে বিচার ব্যবস্থা আছে। বিচার ব্যবস্থা না থাকলে বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা জামিন দিতাম না।’

‘আমরা বিশ্বাস করি, হাইকোর্ট দেশের জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল। সেখানে আমরা এবার জামিনের আবেদন যদি করি, অবশ্যই ম্যাডাম জামিন লাভ করবেন,’— বলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

কবে নাগাদ জামিন আবেদন করবেন— জানতে চাইলে প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার জামির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে যতদ্রুত সম্ভব আবেদন করব। হয়তো আগামী সপ্তাহ বা পরের সপ্তাহেই আমরা আবেদন করব।’

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন