বিজ্ঞাপন

উহান ফেরত বাংলাদেশিদের বাড়ি ফেরা শুরু

February 16, 2020 | 2:10 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় ৩১২ জন বাংলাদেশিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী, বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের অংশ হিসেবে তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে। ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ শেষে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের সবাই বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর কোয়ারেন্টাইনে থাকা সকলকে স্বাস্থ্য সনদ ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া শেষে শুরু হয় উহান ফেরতদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর্ব। তবে ঢাকার বাইরের অনেকেই রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্প ছেড়ে যাবেন।

এর আগে, শনিবার বিকাল থেকেই কোয়ারেন্টাইন করে রাখা বাংলাদেশিদের স্বজনরা ভিড় করতে থাকেন আশকোনাস্থ হজ ক্যাম্পের সামনে।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য মতে, আশকোনা হজ ক্যাম্পে অবস্থানকারী ৩০১ জন এবং ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে প্রত্যেককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

উহান থেকে দেশে ফেরার পর ১৪ দিন কোয়েরান্টাইন অবস্থায় থাকার কারণে তাদের মানসিক অবস্থা যেনো স্বাভাবিক থাকে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ এই সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। বাড়ি ফেরার পর যে কোনো ধরনের জটিলতা অনুভব করলে সঙ্গেসঙ্গে আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে তাদের।

নাম, পরিচয় প্রকাশ না করার আহ্বান

কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানায় প্রতিষ্ঠানটি।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উহান ফেরত যাত্রীদের ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রাখা সব পক্ষের পেশাগত নৈতিক দায়িত্ব। এ কারণে কোয়ারেন্টাইন সমাপনী কার্যক্রম সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়নি। গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝবেন আশা করে, বিজ্ঞপ্তিতে স্পর্শকাতর জরুরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি মোকাবেলয় সাংবাদিক ও সংশ্নিষ্ট মহলকে সংবেদনশীলতার সঙ্গে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।

এ ব্যাপারে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, উহান ফেরতদের বিষয়ে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের নাম, পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করলে তারা সামাজিকভাবে হেনস্তার শিকার হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, হজ ক্যাম্পে কোয়েরান্টাইনে থাকা কারও শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই। ডব্লিউএইচও’র সমস্ত গাইডলাইন অনুসরণ করে তাদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর তারা সবাই সুস্থ আছেন। এ কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

দেশে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি

এর আগে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আইইডিসিআরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই পরিচালক বলেন, সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত চার বাংলাদেশির মধ্যে একজন আইসিইউ এবং তিন জন হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন। আরও ছয় বাংলাদেশিকে কোরারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে।

দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কারও মধ্যে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। বিদেশ থেকে আসা সবাইকে স্ক্রিনিং করা হলেও চীন এবং সিঙ্গাপুর ফেরতদের সর্বোচ্চ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন আইইডিসিআর পরিচালক।

 

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- করোনাভাইরাসের টাইমলাইন

সারাবাংলা/এসবি/একেএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন