বিজ্ঞাপন

পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান

February 16, 2020 | 3:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পুঁজিবাজারে সূচকের বড়ধরনের উত্থান হয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৬৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ডিএসই‘র ব্রড ইনডেক্সটি চালু হওয়ার পর রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) একদিনে সূচকের তৃতীয় সর্বোচ্চ উত্থান এটি। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩২ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। এখন পর্যন্ত ওটাই একদিনে সূচকের সর্বোচ্চ উত্থান। এছাড়াও ২০১৫ সালের ১০ মে একদিনে সূচকের উত্থান হয়েছিল ১৫৫ পয়েন্ট। যা এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ উত্থান।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের নানান উদ্যোগের কারণে ইতিবাচক ধারা ফিরেছে দেশের দুই পুঁজিবাজার। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের বৈঠক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সুবিধা, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে তহবিল সরবরাহের ঘোষণা এবং অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে বাজারে বড়ধরনের উত্থান হয়েছে।

সর্বশেষ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংস্কারে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা আজ রোববার দুই পুঁজিবাজারে বড়ধরনের উত্থান হয়েছে। এছাড়াও গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মাত্র ৫ শতাংশ সুদে অর্থ সরবরাহ করার প্রজ্ঞাপন জারি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রায়ত্ব চার ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়ার বিষয়ের খবরে পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এর আগে ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের নীতি নির্ধারকদের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকও কিছুটা নমনীয় হয়। এতে করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়ে যায়। আর এই কারণে পুঁজিবাজারের সূচক ঊর্ধ্বমূখী ধারায় ফিরেছে।

রোববার ডিএসইতে ৩৫৬ টি কোম্পানির ৩৫ কোটি ৬০ লাখ ৩২ হাজার ৪৩১ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৯৩ টির, কমেছে মাত্র ৪০ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম। দিনশেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৩৪ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৫৭ পয়েন্ট, ডিএসইএ-৩০ সূচক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৯২ পয়েন্টে উন্নীত হয়।

অন্যদিকে, রোববার অপর পুঁজিবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৬৮টি কোম্পানির ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার ১০৯টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ২১২টির, কমেছে ৩৯ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইতে ৩০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন