মজুত গ্যাসে চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে দেশে উত্তোলনযোগ্য মজুত গ্যাসের পরিমাণ ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

তিনি বলেন, এখনকার গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। এই হারে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত থাকলে এখনকার মজুত দিয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাসাবাড়ি ও শিল্পকারখানাসহ অন্যান্য গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য হাবিবুর রহমান।

আরও পড়ুন- বাসাবাড়ির চুলায় না, শিল্পে গ্যাস দেবে সরকার

লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, নতুন গ্যাস ফিল্ড অনুসন্ধানের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার সীতাপাহাড ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ চলছে। অন-শোর বিভিন্ন ব্লকে টুডি সিসমিক জরিপ করার জন্য ডিপিপি অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। শ্রীকাইল ইস্ট#১ অনুসন্ধান কূপ খননের প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে।

এছাড়া সমুদ্রাঞ্চলে তেল/গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চারটি (এসএস-০৪, এসএস-০৯, এসএস-১১ ও ডিএস-১২) ব্লকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির সঙ্গে উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) সই হয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, এসব ব্লকে টুডি ও থ্রিডি জরিপের ভিত্তিতে অগভীর সমুদ্রের তিনটি ব্লকে ২০১১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চারটি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে। খুব শিগগিরই এসএস-০৪-এ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।

আরও পড়ুন- ‘গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত নেই’

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ঢাকা মহানগরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬০ মিটার অবৈধ বিতরণ লাইন রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ১ হাজার ৪৬০ মিটার, ঢাকা জেলায় ১৮ হাজার ৫০০ মিটার, গাজীপুরে ১ হাজার ৪৫০ মিটার, নারায়ণগঞ্জে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩০০ মিটার  ও মুন্সিগঞ্জে ৩১ হাজার মিটার বিতরণ লাইন অবৈধ।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও জানান, বিচ্ছিন্ন করা অবৈধ বিতরণ পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার। বিচ্ছিন্ন করা গ্যাস বার্নারের সংখ্যা ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০টি। এজন্য বিভিন্ন থানায় মোট ১০৪টি মামলা করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস বিতরণ বিচ্ছিন্নে ২০১৬-২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ কোটি ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০০ টাকা আদায় করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর