বিজ্ঞাপন

ষষ্ঠ অধিবেশনে ৭ বিল পাস, মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশন ২২-২৩ মার্চ

February 18, 2020 | 10:31 pm

স্পেশাল করেপন্ডেন্ট

সংসদ ভবন থেকে: রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণ গ্রহণ ও সাতটি বিল পাসের মধ্য দিয়ে শেষ হলো একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও চলতি ২০২০ সালের প্রথম সংসদ অধিবেশন। ২৮ কার্যদিবসের এই অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের ২২৭ জন সদস্য প্রায় ৫৫ ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। অধিবেশন শেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীর বর্ষব্যাপী আয়োজন মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ সংসদ অধিবেশন বসবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ষষ্ঠ অধিবেশনের সমাপনী দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি ভাষণ রেখেছিলেন সংসদে। এর ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে তা গ্রহণ করা হয়েছে। রাতে ওই প্রস্তাব গ্রহণের পর সংসদ অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আরও পড়ুন- ‘অনেক ব্যথা-বেদনা বুকে চেপে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি’

সংবিধানের ৭৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশন ও প্রতিবছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন। এরপর সংসদ সদস্যরা এই ভাষণ নিয়ে আলোচনা করবেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে কার্যপ্রণালী বিধির ৭ম অধ্যায়ে ৩৪ অনুচ্ছেদে বলা আছে, স্পিকার সংসদ নেতার সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতির ভাষণ নিয়ে আলোচনার জন্য সময় বরাদ্দ করবেন। পরে বিধি অনুযায়ী ভাষণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন সংসদ সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

সংবিধান ও কার্যপ্রাণালী বিধি অনুযায়ী একাদশ সংসদের ষষ্ঠ, তথা ২০২০ সালের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন গত ৯ জানুয়ারি সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত ১৪ জানুয়ারি ওই ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী। এরপর ওই ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়।

সংসদ অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের ২২৭ জন সদস্য প্রায় ৫৫ ঘণ্টা আলোচনা করেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট ১৪ দলীয় জোটের শরিকসহ ২০১ জন সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। শুধু আওয়ামী লীগের ১৯২ জন সদস্য এই আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়া ওয়াকার্স পার্টির চার জন, জাসদের দুই জন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একজন, তরিকত ফেডারেশনের একজন ও জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন সংসদ সদস্য আলোচনা করেন।

বিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ১৮ জন, বিএনপি’র পাঁচ জন, গণফোরামের দুই জন ও একজন স্বতন্ত্রসহ মোট ২৬ জন আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির সদস্যরা সময় পেয়েছেন প্রায় ৯ ঘণ্টা, আর বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেছেন প্রায় এক ঘণ্টা।

বিজ্ঞাপন

৭ বিল পাস

বছরের প্রথম অধিবেশনের ২৮ কার্যদিবসে সবমিলিয়ে সাতটি বিল পাস হয়েছে। অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ২৩৫টি নোটিশ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১২টি নোটিশ গ্রহণ করা হয়েছে এবং আটটি নোটিশ নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ৭১ (ক) বিধিতে দুই মিনিট করে আলোচনার নোটিশ ছিল ৬০টি।

প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন ৫৫টি, মন্ত্রীদের ২৯০২টি

এবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরদানের জন্য ১২৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ৫৫টি প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য দুই হাজার ৯০২টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। এর মধ্যে দুই হাজার ২৩৬টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মন্ত্রীরা।

মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশন

সংসদ অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণার আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে। এই অধিবেশনের মতো বিশেষ অধিবেশনও সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত থাকবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।

মূলতবি প্রস্তাব নাকচ

সংসদের চলতি এই অধিবেশনে সাধারণ আলোচনার জন্য দুইটি প্রস্তব পাওয়া যায়। প্রস্তাব দু’টি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। প্রস্তাব দু’টি ছিলো ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আশু করণীয়’ ও ‘ঢাকার বায়ু দুষণ রোধ’ প্রসঙ্গে। ওই বিষয় দু’টি নিয়ে এরই মধ্যে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রস্তাব দু’টি নাকচ করেন স্পিকার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন