বিজ্ঞাপন

হালান্ডের জোড়া গোলে পিএসজিকে হারালো ডর্টমুন্ড

February 19, 2020 | 4:45 am

স্পোর্টস ডেস্ক

আর্লিং হালান্ডের গোল উৎসব যেন থামছেই না। প্রতি ম্যাচেই গোল করে হয়ে যাচ্ছেন গোল মেশিন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পিএসজির বিপক্ষে জোড়া গোল করে নিজেদের মাঠে দুর্দান্ত এক জয় উপহার দিলেন দলকে।

বিজ্ঞাপন

ঘরের মাঠে শক্ত প্রতিপক্ষের আক্রমণের বেশ দাঁতভাঙা জবাব দিচ্ছিল ডর্টমুন্ড ম্যাচের শুরু থেকেই। একের পর এক আক্রমণে দুই দল মত্ত থাকলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কেউই।

ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির কাছ থেকে বল পান রাফায়েল গুরেইরো। তিনি শট নেন পিএসিজর গোলবারে। কিন্তু পথিমধ্যে বাধা পেয়ে ফিরতি বল এসে পরে হালান্ডের পায়ে। দুর্দান্ত এক শট নিয়ে বলকে জালের ঠিকানা খুঁজে দিয়ে ডেডলক ভাঙেন এই ১৯ বছর বয়সী ফুটবলার।

গোল হজম করে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে নেইমার-এমবাপেরা। ৭৫তম মিনিটে ফিরেও আসে তারা ম্যাচে। এমবাপের পাস থেকে দলকে সমতায় ফেরানোর কাজটা করেন নেইমার। কিন্তু সেই সুখ বেশিক্ষণ কপালে সয়নি টুখেল শীষ্যদের।

বিজ্ঞাপন

দুই মিনিটের ব্যবধানে সফরকারীদের উল্লাস নস্যাৎ করে দিয়ে আবার আঘাত হানেন হালান্ড। বদলি খেলোয়াড় জিওভান্নি রেয়নার কাছ থেকে বল পেয়ে পিএসজি গোলরক্ষক নাভাসকে পরাস্থ করে দলকে এগিয়ে দেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার। সেই সাথে ডর্টমুন্ডের জার্সি চাপিয়ে নিজের ঝুলিতে পুরেন ১০ম গোলটি। একই সাথে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন তিনি। চলতি চ্যাম্পিয়নস লিগ আসরে দুই দলের হয়ে মোট ১০ গোল করে শীর্ষ গোলদাতা বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডভস্কিকে ছুঁয়ে ফেললেন তিনি।

এরপর আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি টুখেল বাহিনীর। ফলে ২-১ এর পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। তবে শেষ আটের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে ফরাসি এই ক্লাবটি। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতলেই শেষ আট নিশ্চিত হবে তাদের।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএ

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন