বিজ্ঞাপন

‘বারবার খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ নয়’ বিব্রত ওবায়দুল কাদের

February 19, 2020 | 2:15 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে বারবার একই প্রশ্ন করে বিব্রত না করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ সব কথা বলেন। প্রধান অতিথির সূচনা বক্তব্যের পর যৌথসভা শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে অনেক কাজ রয়েছে। দেশের কাজ, দলের কাজ। খালেদা জিয়ার বিষয়ে বারবার একই প্রশ্নের জবাব দেব, সে সময় আমাদের হাতে নেই। এ প্রশ্নটি দয়া করে করবেন না ‘

‘তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতের অধীনে আছেন, আদালত তার বিষয় ঠিক করবেন। এটি কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। এটি দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতি মামলায় যা হওয়ার আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের হাতে নেই, শেখ হাসিনার হাতে নেই। আমাদের কারও কাছে বিষয়টি নেই। আমাদের এখতিয়ারে এটি নেই। কাজেই এই প্রশ্নটি করে বারবার বিব্রত করবেন না। আমি এই প্রশ্নের জবাব আর দিতে চাই না’ বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

মরণঘাতি ভাইরাস করোনার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভাইরাসটির প্রকোপে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হতে পারে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে।’

‘তবে করোনাভাইরাস আমাদের অর্থনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে সেই অবস্থা এখনও আসেনি। এটি যদি বেশিদিন কন্টিনিউ করে তাহলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি সাংবাদিক বন্ধুদের একটি কথা বলি। আমাদের দেশ আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ আজ বিশেষ মর্যাদায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের অনেক কর্মসূচি রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক কমেছে। পেঁয়াজের দাম তো কমেছে। তবে দাম একেবারে আগের জায়গায় এসেছে এমন কথা আমি বলব না।’

মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চীনের ২৫০ জন কর্মী তাদের ছুটিতে গেছেন (নববর্ষে)। আমাদের এখন যে অবস্থা এক হাজার কর্মীর মধ্যে ২৫০ জন ছুটিতে আছে। বাকিরা এখানে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের যে প্রভাব, এরপরেও তিনটি স্প্যান আমাদের বসে গেছে এবং আগামীকালও আরেকটা স্প্যান বসার কথা রয়েছে। আমরা আগামী আড়াই মাসের মধ্যে যারা ছুটির কারণে চীনে আছে, তারা ফিরে না এলে একটু সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই মাসে আমাদের কাজের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। অন্তত কমিউনিকেশন সেক্টরের অবস্থা আমি বলতে পারি।’

ঢাকা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের পরিচালনায় যৌথ সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাজাহান খান, আব্দুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সানজিদা খানম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান কচিসহ ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন