February 19, 2020 | 8:34 pm
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম সদরের তিনটি গ্রাম ধরলা নদীর ভাঙনের শিকার হতে পারে। তলিয়ে যেতে পারে ওসব অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই আগামী বর্ষার আগেই ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন গ্রামবাসী। নদী পাড়ে জড়ো হয়ে করেছেন মানববন্ধন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোগলবাসা ঘাটে এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শত শত শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা। নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে গ্রামের ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, মসজিদ, মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের কিসামত, কিসামত মোগলবাসা ও সিতাইঝাড় গ্রামের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে কয়েক শ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে পড়েছে মোগলবাসা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, খেলার মোড় মাদরাসা, সেনের খামার উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, সন্ন্যাসীর পাঠ মাদরাসা, স্থানীয় মসজিদ-মন্দির, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, মোগলবাসার ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী প্রতিরোধের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরলার ভাঙন রোধে ওই এলাকায় কাজ শুরু করা হবে।
সারাবাংলা/এনএইচ