বিজ্ঞাপন

খালেদার জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ

February 23, 2020 | 3:10 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা কি তা জানাতে মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কে এম জহুরুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বুধবার সবশেষ মেডিকেল প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বৃহস্পতিবার ফের জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হবে।

এ ছাড়া অ্যাডভান্সড (উন্নত) ট্রিটমেন্টের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন কিনা, সম্মতি দিলে চিকিৎসা শুরু হয়েছে কিনা এবং শুরু হলে কী অবস্থা তা জানাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আবেদনের পক্ষে ছিলেন জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলে খুরশীদ আলম খান।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, দুপুর ২টায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমাদের একমাত্র গ্রাউন্ড হলো খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তার এ অবস্থায় আমরা জামিন প্রার্থনা করছি।’

এদিন সকালে মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

গত মঙ্গলবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া জামিন চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন।

বিজ্ঞাপন

অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় ‘মানবিক কারণে’ খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। জামিন পেলে তিনি চিকিৎসা জন্য বিদেশে যেতে চান।

‘আবেদনকারীর (খালেদা জিয়ার) শারীরিক অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারে না, খেতে পারছেন না। এমনকি ওষুধও নিতে পারছেন না।

‘তাই দ্রুত তাকে যুক্তরাজ্যের মত উন্নত দেশে নিয়ে আধুনিক, উন্নত চিকিৎসা বা থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন। তার এই অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আধুনিক উন্নত থেরাপি বা চিকিৎসার স্বার্থে নতুন করে এই জামিন আবেদনটি করা হয়েছে।’

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই মামলায় আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে তা ১০ বছর দেন হাইকোর্ট। দুই মামলায় খালেদা জিয়া ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত।

সারাবাংলা/এজেড/একে

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন