বিজ্ঞাপন

বই বিক্রি হচ্ছে কেমন?

February 23, 2020 | 9:35 pm

পার্থ সনজয়

শেষ সপ্তাহে পা রাখলো অমর একুশে বইমেলা। এখন পর্যন্ত বিক্রি কেমন? প্রশ্নের উত্তরে নালন্দা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী রেদওয়ান জুয়েল জানালেন, গেল বছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত বিক্রি কম। কেন কম?— এ প্রশ্নে জুয়েলের জবাব, কারণ অনলাইনে বই বিক্রি বেশি। ঘরে বসে পাঠক ২৯ শতাংশ কমিশনে বই পাচ্ছে। তাহলে মেলায় এসে কেন ২৫ ভাগ কমিশনে বই কিনবে?

বিজ্ঞাপন

তবে অমর একুশে বইমেলায় শুধুই কি বই কিনতেই আসেন পাঠক? শিল্পী শাহেদ জানালেন, বইমেলায় আসি আড্ডা দিতে। এত এত মানুষের সঙ্গে দেখা হয় যে হাতছানিটা উপেক্ষা করা কঠিন। সেই সঙ্গে বই কেনাটা বাড়তি।

অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা মেলায় এসেছেন পরিচালক অনিমেষ আইচকে সঙ্গে নিয়ে। গেল কয়েক বছর মেলায় তাদের বই ছিল ধারাবাহিক। কথা ছিল এবারও আসবে। আসেনি। তবে ভাবনা এসেছেন। বলছেন, ‘প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু শেষ করা গেল না। তাই এলো না।’ বই এলো না অনিমেষ আইচেরও।

বিজ্ঞাপন

মেলায় এদিন গুরুত্বপূর্ণ বই এসেছে বেশ কয়টি। এর মধ্যে সুভাষ সিংহ রায়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে দেওয়া ১৭টি ভাষণের সংকলন এনেছে অনন্যা প্রকাশনী। মোড়ক উন্মোচন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের বই ‘রক্তঝড়া মার্চ ১৯৭১: অসহযোগ আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা’ এনেছে জার্নিম্যান বুকস। বইটির প্রকাশ উপলক্ষে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটির প্যাভিলিয়নে আয়োজন করা হয় মোড়ক খোলা অনুষ্ঠানের। এসময় তোফায়েল আহমেদ স্মরণ করেন, ৫১ বছর আগের ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনটি। সেদিন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ রাখার আগে তিনিই শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে সম্বোধন করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

স্মৃতিকাতর তোফায়েল আহমেদ বইটিতে মার্চের অসহযোগ আন্দোলনকে দুই মলাটে তুলে ধরেছেন।

এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকেই এদিন আরও প্রকাশিত হয়েছে নাজনীন হক মিমির ‘৬৯-এর শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ও মুক্তিযুদ্ধ’ বইটি।

এদিনের ১৫৪টিসহ ২২ দিনে নতুন বই এলো ৩ হাজার ৭৮৫টি। এর মধ্যে ঐতিহ্য এনেছে ফয়জুল্লাহ আমানের ‘ভারতনামা’ ও বুলবুল সরওয়ারের ‘কবিতার মুসাফির’।

বিজ্ঞাপন

মূল মঞ্চে এদিন আলোচনার বিষয় ছিল বাংলা একাডেমি প্রকাশিত মুর্শিদা বিনতে রহমানের ‘স্বাধীনতার পথে বঙ্গবন্ধু: পরিপ্রেক্ষিত ১৯৭০-এর নির্বাচন’ বইটি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুস্তাফিজ শফি। সভাপতিত্বে ছিলেন মো. আখতারুজ্জামান।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন