বিজ্ঞাপন

মুশির ডাবল, নাঈমের ঘূর্ণিতে চালকের আসনে বাংলাদেশ

February 24, 2020 | 4:40 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দেওয়া ২৯৫ রানের লিডের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৯ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। দিন শেষে সফররতরা পিছিয়ে রয়েছে ২৮৬ রানে। উইকেটে আছেন ব্রেন্ডন টেইলর (১) এবং কেভিন কাসুজা (৮)।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় রকমের হোঁচট খায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওভারেই নাঈম হাসানের স্পিন ভেলকিতে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান প্রিন্স মাসভাউরে এবং ডোনাল্ড তিরিপানো।

এর আগে মুশফিকের দুর্দান্ত ডবল সেঞ্চুরিতে সিরিজের একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২৯৫ রানের লিড দেয় বাংলাদেশ। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে ৬ উইকেটের খরচায় ৫৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে টিম টাইগার্স।

৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে টাইগাররা। দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত মুশফিকুর রহিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতক। সঙ্গে থাকা মুমিনুলও থেমে থাকেননি। ব্যাট চালাতে থাকেন শতকের দিকে।

বিজ্ঞাপন

রানের তুবড়ি ছুটিয়ে ইনিংসের ৮৩তম ওভারে ত্রিপানোর করা তৃতীয় বলটিকে চারে পরিণত করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম শতক। তার ক্যারিয়ারের ৯টি সেঞ্চুরির সবগুলোই দেশের মাটিতে। এর ভেতর ৬টি শতকই তিনি হাঁকিয়েছেন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। আর বাকি ৩টি মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি মুমিনুলের তৃতীয় শতক।

এরপর মুশফিকও হাঁটলেন দলপতির দেখান পথে। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেই দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এনডিলোভুকে অফ সাইডে চার মেরে তুলে নেন দুর্দান্ত শতক। ক্যারিয়ারে এটি মুশির সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। প্রায় দেড় বছর পর শতকের দেখা পেলেন মি. ডিপেন্ডেবল।

সেঞ্চুরির পর হাত খুলে খেলা শুরু করেন মুশি। মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে বড় লিডের ইঙ্গিত দিতে থাকেন সফররত রোডেশিয়ানদের। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন এনডিলোভু। মুমিনুল হককে (১৩২) ফিরিয়ে ভাঙেন বাংলাদেশের ২২২ রানের চতুর্থ উইকেটের জুটি।

বিজ্ঞাপন

বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন মিঠুনও। এনডিলোভুর তৃতীয় শিকার বনে সাজঘরে ফিরে যান মিঠুন। ফেরার আগে আগে নামের পাশে যোগ করেন মাত্র ১৭ রান।

তবে উইকেট কামড়ে থাকেন মুশফিকুর রহিম। শতক হাঁকানোর পর চোখ থাকে ১৫০ রানের দিকে। ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০ রানের ইনিংসও। তবে সেখানেই কমেনি মুশির ক্ষুধা। তখন বাজের মতো চোখটা চলে যায় ডাবলের দিকে।

শেষ পর্যন্ত ক্ষুধা নিবারণ করেও ফেলেন মুশি। তুলে নেন দুর্দান্ত এক ডবল সেঞ্চুরি। সেই সাথে মালিক বনে যান প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনটি ডবল সেঞ্চুরির। ইনিংস ঘোষণা পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২০৩ রানে। উইকেটের অপরপ্রান্ত থেকে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাইজুল ইসলাম ১৪ রানে।

বাংলাদেশ একাদশ- তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেন।

বিজ্ঞাপন

জিম্বাবুয়ে একাদশ- প্রিন্স মাসভাউরে, কেভিন কাসুজা, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন টেলর, টিমিসেন মারুমা, সিকান্দারা রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), চার্লটন শুমা, ডোনাল্ড তিরিপানো, এইন্সলে এনডিলোভু, ভিক্টর নায়াউচি।

সারাবাংলা/এনএ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন