বিজ্ঞাপন

এক বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ

February 25, 2020 | 2:00 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

দীর্ঘ এক বছর ৩ মাস পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস এবং ১০৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ছয় টেস্ট পর জয়ের স্বাদ পেল টিম টাইগার্স। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের ৭ম জয়। আর দেশের মাটিতে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে এটি টাইগারদের ৬ষ্ঠ জয়। সেই সাথে দেশের মাটিতে সাদা পোশাকে বাংলাদেশের এটি ১০ম জয়।

বিজ্ঞাপন

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্টের চতুর্থ দিনে জয় তুলে নিলো মুমিনুল এন্ড কোং। এর আগে শেষ তিন টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হার বরণ করতে হয়েছিল ডোমিঙ্গ শিষ্যদের। বাংলাদেশের দেয়া ২৯৫ রানের লিডের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনে মধ্যাহ্ন বিরতির পর ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় রোডেশিয়ানরা।

বাংলাদেশের হয়ে ৫ উইকেট নেন নাইম হাসান আর তিনটি উইকেট নেন তাইজুল। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ইনিংসের সর্বোচ্চ রান আসে মারুমার ব্যাট থেকে (৪১)।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে মুশফিকুর রহিমের ডাবল এবং অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষভাগেই দু’টি উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

বিজ্ঞাপন

চতুর্থ দিনে ২৮৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে রোডেশিয়ানরা। শুরু থেকেই জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরে স্বাগতিকরা। দিনের প্রথম চার ওভারে দেননি কোনো রানই। এরপর সফরকারীরা ব্যাট চালাতে শুরু করলেই কেভিন কাসুজাকে (৮) দিনের প্রথম শিকার বানান তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে তখন রান মাত্র ১৫।

এরপর প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকান ক্রেইগ আরভিনকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলর। তবে দলীয় ৪৪ রানে ফিরতে হয় টেইলরকে (১৭)। তিনি ফিরলে অধিনায়ক আরভিন ও সিকান্দার রাজা মিলে গড়লেন ৬০ রানের জুটি। বিপর্যয় কাটিয়ে রানের চাকা সচল রাখা এই জুটি ভাঙল আরভিন (৪৩) রান আউটে কাটা পড়লে।

মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে বাংলাদেশকে জয়ের পথে আরো একধাপ এগিয়ে নেন তাইজুল ইসলাম। ৩৭ রান করা সিকান্দার রাজার উইকেট তুলে নিলে জিম্বাবুয়ের ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে ১২১ রানে। ৭ম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন চাকাভা এবং মারুমা। ১৮ রানে ব্যাট করতে থাকা চাকাবাকে নিজের ৩য় শিকার বানান তাইজুল। এরপরই এইন্সলে এনডিলোভু (৪) ফেরেন নাঈম হাসানের চতুর্থ শিকার হয়ে।

বিজ্ঞাপন

প্রথম ইনিংসে মুশফিকের দুর্দান্ত ডবল সেঞ্চুরিতে সিরিজের একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২৯৫ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। মিরপুরের তৃতীয় দিনে ৬ উইকেটের খরচায় ৫৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা।

৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে টাইগাররা। দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত মুশফিকুর রহিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতক। সঙ্গে থাকা মুমিনুলও রানের তুবড়ি ছুটিয়ে ইনিংসের ৮৩তম ওভারে তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম শতক। তার ক্যারিয়ারের ৯টি সেঞ্চুরির সবগুলোই দেশের মাটিতে।

এরপর মুশফিকও হাঁটলেন দলপতির দেখান পথে। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তুলে নেন দুর্দান্ত শতক। ক্যারিয়ারে এটি মুশির সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি। প্রায় দেড় বছর পর শতকের দেখা পেলেন মি. ডিপেন্ডেবল। মুমিনুল হককে (১৩২) ফিরিয়ে এনডিলোভু ভাঙেন বাংলাদেশের ২২২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। এরপর এনডিলোভুর তৃতীয় শিকার বনে সাজঘরে ফিরে যান মিঠুন (১৭)।

বিজ্ঞাপন

তবে উইকেট কামড়ে থাকেন মুশফিকুর রহিম। শতক হাঁকানোর পর চোখ থাকে ১৫০ রানের দিকে। ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০ রানের ইনিংসও। তবে সেখানেই কমেনি মুশির ক্ষুধা। তখন বাজের মতো চোখটা চলে যায় ডাবলের দিকে।

শেষ পর্যন্ত ক্ষুধা নিবারণ করেও ফেললেন মুশি। তুলে নিলেন দুর্দান্ত ডবল সেঞ্চুরি। সেই সাথে মালিক বনে যান প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনটি ডবল সেঞ্চুরির। ইনিংস ঘোষণা পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২০৩ রানে। উইকেটের অপরপ্রান্ত থেকে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাইজুল ইসলাম ১৪ রানে।

সারাবাংলা/এসএস/এনএ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন