February 26, 2020 | 7:27 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মোহাম্মদ দিলোয়ার বখত।
বুধবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
দিলোয়ার বখত বলেন, পাপিয়ার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর অনুসন্ধান করা হবে। সেই অনুসন্ধানকালে কারও নাম এলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে কমিশন। দুর্নীতি করলে কাওকে ছাড় দেওয়া হবে না। বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে আরও জানা গেছে, দুদকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআরকে দ্রুতই চিঠি দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে পাপিয়ার সহায়-সম্পত্তি এবং আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাবে দুদক।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার অন্যরা হলেন, পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। এরপর তাদেরকে নিয়ে ফার্মগেট ও নরসিংদীর বাসায় অভিযান চালানো হয়।
র্যাব অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০টি পিস্তলের গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেকবই, কিছু বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করে।
র্যাব আরও জানায়, পাপিয়া ও তার স্বামীর মালিকানায় ইন্দিরা রোডে ২টি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে ২টি ফ্ল্যাট ও ২ কোটি টাকা দামের ২টি প্লট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ ও নরসিংদী জেলায় একটি প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকার বিনিয়োগ আছে।
পাপিয়া ২০১০ সালে নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। ২০১৮ সালে তাকে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সারাবাংলা/এসজে/এনএইচ