বিজ্ঞাপন

গণমাধ্যমকর্মী আইন মন্ত্রিসভার বেঠকে উঠবে শিগগিরই: তথ্যমন্ত্রী

February 27, 2020 | 9:20 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণমাধ্যমকর্মী আইন উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, শিগগিরই গণমাধ্যমকর্মী আইন মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠবে। এ আইনের মাধ্যমে টেলিভিশনসহ সব ধরনের গণমাধ্যমে কর্মরতদের আইনি সুরক্ষার আওতায় আনা যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্যের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব শাবান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য। এই ওয়েজ বোর্ড সংসদে পাস করা আইনের ভিত্তিতে গঠন করা হয়। ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে এর আওতায় আনতে হলে আবার আইন করতে হবে। তবে আমরা যে গণমাধ্যমকর্মী আইন করছি, তার মাধ্যমে টেলিভিশনসহ সব গণমাধ্যমে কর্মরতদের আইনি সুরক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের মর্যাদা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনাদের সুখবর দিতে চাই। বিএনপি-জামাতের আমলে গণমাধ্যমকর্মীদের শ্রমিক বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমকর্মী আইনে সেটি নিরসন করা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা কোনোভাবেই শ্রমিক নয়।

বিজ্ঞাপন

এই আইন শিগগিরই অনুমোদন পাবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এরই মধ্যে সচিব কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরেকটি সভার পর আমরা সেটি মন্ত্রিসভায় নিতে পারব। আমরা খুব শিগগিরই সেটি করা চেষ্টা করব। একইসঙ্গে আশা করব, সম্প্রচার আইনটিও খুব শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আসবে। তখন আমরা সেটিও মন্ত্রিসভায় নিয়ে যেতে পারব।

গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির সুরক্ষা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কাউকে যদি ছাঁটাইও করতে হয়, সেটিও আইন মেনেই করতে হবে। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যাবেলা ছাঁটাইয়ের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া যায় না। রাষ্ট্র সেটি অনুমোদন দেয় না। একজন মানুষ যেখানে কাজ করছে বছরের পর বছর, তাকে হঠাৎ করে ছাঁটাইয়ের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া কোনভাবেই সমীচীন নয়, আইনসম্মতও নয়। আমি মালিকপক্ষকে অনুরোধ জানাব, দয়া করে কাউকে এভাবে ছাঁটাই করবেন না। তাদের একটা বিপর্যস্ত অবস্থায় ফেলা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

দেশি গণমাধ্যম রক্ষায় মন্ত্রী তার উদ্যোগের প্রসঙ্গে বলেন, বিদেশি চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। টেলিভিশনের সিরিয়ালও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যাদের বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছিল, সেগুলো যেন আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো পায়, সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনও যেন না চলে যায়, এগুলোর সুফল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কিছুটা হলেও পাচ্ছে।

সাংবাদিকদের জাতির ও সমাজের বিবেক অভিহিত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের চিত্র পরিস্ফূটিত হয়। আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার দিকনির্দেশনা পায়। একজন সাংবাদিক তার লেখার মাধ্যমে ভাষাহীনকে ভাষা দিতে পারে। কথা বলতে পারে না যে, তার পক্ষ থেকে একজন সাংবাদিক কথা বলতে পারে। একজন সাংবাদিক তার লেখার মাধ্যমে ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করতে পারে। দেশ, রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা আপনারা করে আসছেন।

বিজ্ঞাপন

ডিইউজে’র নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী পরশু একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে ভালো কমিটি গঠিত হবে— এটিই চাই। এমন একটি কমিটি হবে, যেটি ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন ও পেশাগত উৎকর্ষ বাড়াতে কাজ করবে। এতদিন যে কমিটি ছিল, আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। আমার কাছে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেছে। আশা করি, ভবিষ্যতে যারা দায়িত্বে আসবেন, তাদের সঙ্গেও মিলেমিশে কাজ করতে পারব।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন