বিজ্ঞাপন

ডিবির অভিযানে ৪২ ছিনতাইকারী আটক

February 29, 2020 | 2:42 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪২ জন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। এরা পেশাদার ছিনতাইকারী এবং অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৮৫টি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু চাকু-চাপাতি জব্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযান অব্যাহৃত থাকবে জানিয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, ছিনতাইকারীরা সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। তাদের আইনের আওতায় এসে পূর্ণাঙ্গ সাজার ব্যবস্থা করা না হলে অপরাধ কমানো সম্ভব হবে না। বেশিরভাগ সময় বাস-লঞ্চ টার্মিনাল এবং অন্ধকার গলিতে ছিনতাই হয়ে থাকে। আর সেটি গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত।

ঢাকা মহানগর এলাকার রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট আছে সেগুলো বেশির ভাগ নষ্ট এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। এতে ওসব এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। যেসব এলাকায় এমন অবস্থা আমাদের দায়িত্বশীলদের নজর দেওয়া দরবার। সাধারণ মানুষকে সতর্কতা করে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘এসব এলাকা দিয়ে চলাচলের সময় সতকর্তা অবলম্বন করে চলবেন।’

বিজ্ঞাপন

‘ছিনতাই মোবাইল কোথায় যায় এটা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা দেখেছি ছোট খাটো যে পার্স-এর দোকান আছে তারা এসব চোরাই মোবাইল কিনে থাকেন। বসুন্ধরা, মোতালেব প্লাজার অনেক দোকানদার আছে যারা এসব চোরাই মোবাইল কিনে থাকেন। এসব মোবাইল সরাসরি মানুষের কাছে বিক্রি করে না। বিশেষ করে কারও মোবাইলে এসব মোবাইলের পার্স খুলে তাদের কাছে বিক্রি করা হয়। এসব পার্স বিক্রি করলে যে লাভ হয় তা মোবাইল বিক্রি করলেও হয় না। চোরাই মোবাইলের বিক্রি ও কেনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করেছি। অচিরেই সেসব জায়গায় অভিযান চালানো হবে। বড় বড় মার্কেটের যেসব ব্যবসায়ীরা এসব মোবাইল বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে বলতে চাই এটি অপরাধ। এসব কাজে তারা (ব্যবসায়ী) যেন সতর্ক হন।

ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এ অভিযান চলবে। অভিযানের ফলে ছিনতাইকারী বা টানা পাটি আছে তাদের আধিপত্য হ্রাস পাবে।’

মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ছিনতাই বেশি হয়, এ জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘যে সময়গুলোতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটে তা বন্ধ করতে আমরা বাস-লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে প্রটোকল জোরদার করব। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হবে। বিশেষ করে ওই সব এলাকায় চিহ্নিত ছিনতাইকারী কারা তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

বিজ্ঞাপন

মহিলা যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়াকে রিমান্ডে নিয়ে কী জানতে চাওয় হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘যে সব অভিযোগ উঠেছে আমরা তা তদন্ত করছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা এবং ক্রিমিনাল অপরাধগুলো চিহ্নিত করছি। তদন্ত শেষে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাব।’

সারাবাংলা/এসএইচ/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন