বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে আসতে ৪ দেশের নাগরিকের লাগবে করোনাভাইরাস না থাকার সনদ

March 5, 2020 | 2:50 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান থেকে আসা নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও এই চার দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে আসতে চাইলে তারা ‘করোনাভাইরাস মুক্ত’ অথবা কোয়ারেনটাইনে ছিলেন এমন তথ্য নিশ্চিত করে আসতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ মার্চ) মহাখালীতে আইইডিসিআর কার্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ-নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। বিদেশ থেকে কোনো বাংলাদেশি দেশে আসতে চাইলে তারাও বিমানবন্দর থেকে আক্রান্ত হতে পারেন। আর এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের বাইরে হটস্পট হিসেবে ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও জাপানকে শনাক্ত করেছে। এসব দেশে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই সতর্কতা হিসেবে বিদেশি যাত্রী যারা আসেন, তাদের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।’

‘এই চার দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে আসতে হলে এখন থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসা নিতে হবে। ভিসা নেওয়ার সময় তাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ নেই বা তারা যে কোয়ারেনটাইনে পার করেছেন এ ধরনের সনদ জমা দিতে হবে’, জানান আইইডিসিআর পরিচালক।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস: কোয়ারেনটাইনের জন্য চট্টগ্রামে ২ স্কুল নির্ধারণ

তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃসংবাদ যে ইতালিতে একজন বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আক্রান্তের ধরন গুরুতর না হওয়াতে তাকে তার বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে থাকা আমাদের দূতাবাস নিশ্চিত করেছে যে, আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবস্থা গুরুতর আকার ধারণ করলে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।’

অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ছয় জনের পরীক্ষা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১০২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে কারো শরীরেই করোনার উপস্থিতি মেলেনি। আইইডিসিআর’র হটলাইনেও বেড়েছে কলের সংখ্যা। প্রতিষ্ঠানটিতে এসে স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক পরামর্শও নিয়েছেন চার জন।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এ এস এম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/এমও

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন