বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ: শিক্ষামন্ত্রী

March 7, 2020 | 4:47 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘২০১৭ সালের অক্টোবরের শেষে ইউনেস্কো ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণটির স্বীকৃতি দেয়। এটি আমাদের জন্য অশেষ গর্বের। ৪২৭টি তালিকাভুক্ত ছিলো। আর বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ৪২৭টি আইটেমকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করে। অর্থাৎ আমরা বলতেই পারি, এই ভাষণটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ। কিছু স্মৃতি থেকে যায়, কিছু মানুষ থেকে যায়। তেমনি বাংলা এবং বাঙালির কাছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একটি নাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের বক্তৃতায় মূলনীতি তথা আমরা কি চাই, আমরা কেমন দেশ চাই সেই স্বপ্নের কথাও বলেছিলেন। ভাষণে কি ছিল না, সবই ছিল। এই বক্তৃতায় বাঙালির কি দাবি, আমাদের কি করতে হবে তা তিনি সবই বলে গিয়েছিলেন। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে একটি সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বকর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তথা আমাদের সন্তানদের বারবার বলি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা তাদেরকে গড়ে তুলতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক, শোষণ, বঞ্চনামুক্ত, একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও বাংলাদেশ গড়বার। তাই আমরা চাই তারা যেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার মানুষ হতে পারে। তার সোনার বাংলা গড়বার জন্য। সেজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনছি।’

বিজ্ঞাপন

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, গবেষণাখাতসহ ব্যাপক পরিবর্তন সামনে আসছে। কারগরি শিক্ষা প্রায় সকল স্তরে আমরা চালু করতে যাচ্ছি। প্রতিটি স্তরে আমরা শিক্ষার মান বিশ্বমানে নিয়ে যেতে চাই। তার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের প্রজন্মকে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সৃজনশীল মেধা অন্বেষণের আরও প্রতিযোগিতা করতে হবে। যার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজকে বাস্তবতা। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ্য আমাদের শিক্ষার্থীরা। জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, তথ্য-প্রযুক্তিতে তারা গড়ে উঠছে। বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ সেটা আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারব। তারা সেই আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করবে এবং নিজেদেরকে সেভাবে গড়ে তুলবে। তারা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতি তথা তার বলে বলিয়ান হয়ে তারা এগিয়ে যাবে। এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের এই স্বাধীন স্বদেশ ভূমিকে।‘

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইউনেস্কোর জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আবু হেনা মোরশেদ জামান, বাংলাদেশের ইউনেস্কোর প্রতিনিধি মিস সুন লেসহ বিভিন্ন ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন