বিজ্ঞাপন

করোনা পরীক্ষায় ৫টি থার্মাল স্ক্যানার উপহার সামিট গ্রুপের

March 12, 2020 | 12:31 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানারের চাহিদা মেটাতে নতুন পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার দিয়েছে সামিট গ্রুপ। এরই মধ্যে দুইটি স্ক্যানার ঢাকা এসে পৌঁছেছে। বাকি তিনটি স্ক্যানারও খুব শিগগিরই দেশে আসবে বলে জানিয়েছে সামিট গ্রুপ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১১ মার্চ) রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (আইইডিসিআর) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা সামিট গ্রুপের নতুন পাঁচটি স্ক্যানার উপহার দেওয়ার তথ্য জানান সাংবাদিকদের।

এসময় আইইডিসিআর পরিচালক সামিট গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবেও সামিট গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাতে হবে।

এর আগে, চীনের হুবাই প্রদেশের উহান থেকে শুরু করে একপর্যায়ে চীনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরগুলোতে শুরু হয় স্ক্রিনিং। গত ২১ জানুয়ারি স্ক্রিনিং শুরু হয় বাংলাদেশেও। তবে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সাতটি থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে ছয়টি থার্মাল স্ক্যানারই নষ্ট থাকার খবরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ৯ মার্চ নতুন পাঁচটি স্ক্যানার যোগ করা হয় বিমানবন্দরগুলোতে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছিলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও স্ক্যানার প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ। এই গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান সারাবাংলাকে বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের মানুষকে আমরা ভালোবাসি। আর তাই বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রয়োজনে সবসময়ই অবদান রাখতে চায় সামিট গ্রুপ।

আজিজ খান বলেন, আমরা সবসময়ই চাই, বাংলাদেশ ভালো থাকুক, বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকুক। বাংলাদেশের যা প্রয়োজন, সেখানে কিছু অবদান রাখতে পারলে নিজের কাছেই ভালো লাগে, গর্ববোধ হয়।

সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমরা আশা করছি, করোনাভাইরাস বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থা কখনোই সংকটময় হবে না। আর যদি সেটা এসেই পড়ে, তবে আমরা সবাই মিলেই মোকাবিলা করব। সেই সবার মধ্যে আছি আমরাও।

বিজ্ঞাপন

সামিট গ্রুপের পক্ষ থেকে থার্মাল স্ক্যানারগুলো শিগগিরই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সামিট গ্রুপের দেওয়া পাঁচটি স্ক্যানার মেশিন চালু হলে দেশে থার্মাল স্ক্যানারের সংখ্যা হবে ১১টি। নতুন এই পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বন্দরগুলোতে বসানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (৯ মার্চ) নতুন পাঁচটি স্ক্যানার মেশিন বসানোর বিষয়ে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি, চট্টগ্রাম সমুন্দ্রবন্দরে একটি ও বিমানবন্দরে একটি, বেনাপোল বন্দরে একটি এবং সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে।

ফাইল ছবি

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন