বিজ্ঞাপন

‘মশাদের গান’ থামাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

March 31, 2020 | 2:35 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস দুর্যোগের সময় যাতে কোনো মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব না হয় সেজন্য সবাইকে আগাম সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কালকে রাতে যখন ঘুমাতে গেলাম, তখন মাঝে মাঝেই দেখলাম যে, মশারা সংগীত চর্চা করছে, মশার গান শুনলাম। মশার গান শুনতে চাই না। কারণ করোনার সময় যদি আবার মশা যোগ হয় বা ডেঙ্গু আসে, সেটা আমাদের জন্য আরো মারাত্মক হয়ে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে সারাদেশের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে সূচনা বক্তব্যে তিনি এমন নির্দেশনা দেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী এই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত হন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান সঞ্চালনা করেন। তিনি সঞ্চালনার শুরুতে ঢাকা বিভাগে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কি কি করণীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এরপর উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র বক্তব্য রাখেন।

উত্তরের মেয়রের বক্তব্য শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়র সাহেব আছেন, আমি সেকারণে বলছি। সেটা হলো যেমন- কাল রাতে ঘুমাতে গেলাম, তখন মাঝে মাঝেই দেখলাম যে, মশারা সংগীত চর্চা করছে। মশার গান শুনলাম। মানে গুনগুন করে কানের কাছে গান গাচ্ছিল। অর্থ্যাৎ এই যে মশার প্রাদুর্ভাবটা কিন্তু আস্তে আস্তে শুরু হবে। তারপরে আসবে ডেঙ্গু। এই ব্যাপারেও কিন্তু আমাদের এখন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সেদিকে আমি মনে করি, আমাদের প্রত্যেকটা… নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তো আছেনই সেই সাথে যারা এর সঙ্গে জড়িত সকলকেই আমি বলবো, এই মশার হাত থেকে আমার দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

দেশবাসীকে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকেই এখন মশারি ব্যবহার করে না। শুধু মশার ওষুধ দেয় বা কয়েল জ্বালায়। মশার ওষুধ ছিঁটায়। আসলে সেটাও তো নিশ্বাস-প্রশ্বাসে যায়। সেই জন্য প্রত্যেকে যেন মশারি টাঙ্গিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত করেন, সেইভাবে চলবেন। কারণ করোনার সঙ্গে যদি আবার মশা যোগ হয় বা ডেঙ্গু আসে, সেটা আমাদের জন্য আরও মারাত্মক হয়ে যাবে।’

মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব যেন না হয় সেই জন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে একান্তভাবে নজর দেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শুধু নিজের বাড়িঘর না, যে যে এলাকায় বাস করছেন, রাস্তাঘাট আশপাশে কোথাও যেন পানি বা জলাবদ্ধতা না থাকে, মশার প্রজনন ক্ষেত্র যেন না থাকে, মশা ডিম পাড়ার সুযোগ যেন না পায়, সেদিকটা বিশেষকরে সকলেও দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শুরুতে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কিছু বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আচ্ছা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বলতে হবে কেন? মশা মারতে হবে। আমি মশার গান শুনতে চাই না।’

বিজ্ঞাপন

তার জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মশা মারার কর্মসূচিও হাতে আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এছাড়াও গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন