বিজ্ঞাপন

ডিসিদের প্রতি নির্দেশনা: করোনা রোধে জনপ্রতিনিধিদেরও সঙ্গে নিন

March 31, 2020 | 6:18 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের লড়াইয়ে নিজ নিজ এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও সঙ্গে নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসনের যারা আছেন, তাদের দায়িত্ব তো আছেই। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদেরও এ কাজে সঙ্গে নেওয়ার দরকার। কারণ জনগণের মাঝে তাদের একটা প্রভাব থাকে। তাই তারাই পারেন মানুষকে বোঝাতে।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সারাদেশের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে সূচনা বক্তব্যে তিনি এমন নির্দেশনা দেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হন।

আরও পড়ুন- অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে এখনই উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

বিজ্ঞাপন

সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবন থেমে থাকবে না। জীবন চলতে থাকবে। আমাদের চলতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। তারপরও আমি বলব, আমাদের জনগণকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। আবার জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে মানুষকে কষ্ট দেওয়াও কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই, করোনা থেকে জনসাধারণকে সুরক্ষিত করার জন্য জনকল্যাণে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো সবাই যথাযথভাবে মেনে চলবেন।

করোনা মোকাবিলায় রাজনৈতিক বা সামাজিক ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে পারবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে সবাই যার যার দায়িত্ব তারা পালন করে যাচ্ছেন। কাজেই তাদেরকেও আমি বলব, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সম্পৃক্ত থেকেই কাজ করতে হবে।এই ক্ষেত্রে আমাদের প্রশাসনের যারা আছেন, তাদের এই কাজে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদেরও সঙ্গে নিতে হবে। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও সঙ্গে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন- ‘মশাদের গান’ থামাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিজ্ঞাপন

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোনো অপকর্ম না করতে পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

চলমান পরিস্থিতিতে জনসমাগম ও চলাচল সীমিত রাখতে বলা হচ্ছে। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় তাদের কাছে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সে সহায়তা করতে গিয়েও যেন জনসমাগত তৈরি না হয়, সে নির্দেশনাও রয়েছে তার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাউকে সাহায্য দিতে গেলেও কিন্তু লোকসমাগসম হতে পারে। তাই আমি বলে দিয়েছি, একেবারে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত আমাদের মানুষদের সম্পৃক্ত করে দরকার হলে অভাবীদের বাড়ির কাছে গিয়ে সাহায্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সবাই খেয়াল রাখবেন, কারও মধ্যে একটুকু লক্ষণ থাকলেও যেন তার কাছ থেকে অন্য কারও মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পরে।

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুর, কক্সবাজার, গাইবান্ধা, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী জেলা, সিলেট বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও সচিবালয়ে মন্ত্রী-সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

‘সচেতন হয়েছি বলেই আমাদের অবস্থা খুব খারাপ নয়’

পিপিই’র সংকট নেই, প্রয়োজন বুঝে ব্যবহারের নির্দেশনা

সাধারণ ছুটি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তে পারে, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর

‘করোনাকালে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় নয়’

বৈশাখে লোক সমাগম নয়, ডিজিটাল অনুষ্ঠানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ফয়সালের অভিজ্ঞতা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন