বিজ্ঞাপন

পিরোজপুরে জ্বরে স্কুলছাত্রের মৃত্যু, করোনা সন্দেহে বাড়ি লকডাউন

April 1, 2020 | 1:00 am

লোকাল করেসপন্ডেন্ট

মঠবাড়িয়া: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার একটি বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব ধাওয়া গ্রামের এক স্কুলছাত্র সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার বাড়িতে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় করোনা সন্দেহে প্রশাসন মৃত ওই ছাত্রের বাড়িসহ আশেপাশের এলাকা লকডাউন ঘোষণা করে। তবে মৃত ওই ছাত্র করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না তা নিশ্চিত হতে প্রশাসন নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুল ছাত্র গত চার দিন আগে সর্দি-জ্বরে ও কাশিতে আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষয়টি জানালে চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। কিন্তু তার পরিবার তাকে বাড়িতে রেখে স্থানীয় সাধারণ চিকিৎসা করেন। এদিন দুপুরে হঠাৎ তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর খবর পেয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের একটি দল তাৎক্ষনিকভাবে ওই বাড়িতে ছুটে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা তা জানতে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ গবেষণা ও রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ঝুঁকি এড়াতে মৃতের বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে সকলকে কোয়ারেনটাইনে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্কুলছাত্রের মৃত্যুর পর উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম ওই বাড়ি ও আশেপাশের বসতি এলাকা লকডাউন করে সকলকে ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনে থাকার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া তিনি ১৪ দিন ওইসব পরিবারে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছেন বলেও জানান।

ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি আজ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সকলকে সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, মৃতের বাড়িসহ আশপাশ থেকে যেন কেউ বের হতে বা কেউ ঢুকতে না পারেন সেজন্যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন