বিজ্ঞাপন

৫ এপ্রিল থেকে খুলতে শুরু করবে পোশাক কারখানা

April 2, 2020 | 6:34 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশব্যাপী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। ওই সময় পর্যন্ত পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ রাখার পক্ষে ইতিবাচক ছিল পোশাক কারখানা মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। এর মধ্যে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানায় বিজিএমইএ। বিকেএমই’র পক্ষ থেকে কারখানায় ছুটিই ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সরকার সাধারণ ছুটি বাড়িয়েছে আরও এক সপ্তাহ। তবে পোশাক কারখানার মালিকদের দুই সংগঠন বলছে, প্রথম দফার সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হলে ৫ এপ্রিল থেকেই কারখানা খুলতে শুরু করবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ছুটি ঘোষণা করায় পোশাক শ্রমিকদের বড় একটি অংশই ছুটিতে গেছেন গ্রামের বাড়ি। বন্ধ রয়েছে যানবাহন। ফলে ৫ এপ্রিল কারখানা খুললে কাজে ফিরতে বেগ পোহাতে হবে শ্রমিকদের।

জানতে চাইলে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক সারাবাংলাকে বলেন, আমরা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছিলাম। এর পর থেকে কারখানাগুলো চালু হবে।

দেশের নিট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম সারাবাংলাকে বলেন, আমরা প্রথম সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের কারখানা বন্ধ থাকবে। এখনো সেই সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। আমরা নতুন করে ছুটির সময় বাড়াবো না।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যাদের কাজ আছে, তারা কারখানা খুলবে। আর যাদের কাজ নেই, তাদের কারখানা তো বন্ধই থাকবে। তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে কলকারখানা চলবে।

কিছু পোশাক কারখানা সাধারণ ছুটির মধ্যে বন্ধ থাকলেও শুরু থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, উৎপাদনমুখী খাত সাধারণ ছুটির আওতাভুক্ত নয়। বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিষয়টি আবারও পরিষ্কার করেন। তিনি জানান, মালিকরা চাইলে কারখানা খুলতে পারবে। তবে তাদের শ্রমিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

শ্রমিকরা অবশ্য তাদের এই সুরক্ষা নিয়েই শঙ্কিত। পোশাক কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক সারাবাংলাকে বলেন, একটি টি-শার্ট তৈরি করতে কমপক্ষে ৩০ জন শ্রমিকের হাতের ছোঁয়া লাগে। একজন ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই ৩০ জনই আক্রান্ত হবে। এরপর আশপাশের লোকেরাও আক্রান্ত হবে। পোশাক কারখানায় এখন অবশ্যই ছুটি থাকা উচিত।

বিজ্ঞাপন

গাজীপুরের একটি কারখানার শ্রমিক জানান, কারখানা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল। এরপর তারা বাড়ি চলে যান। এখন ছুটি বাড়ালে তাদের শনিবারই ফিরতে হবে গাজীপুরে। সেক্ষেত্রে গণপরিবহন না থাকায় তাদের বিকল্প ব্যাবস্থায় অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। কারখানা কবে খোলা হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানান তিনি।

তবে মগবাজারের একটি কারখানার শ্রমিক কুদ্দুস জানান, তাদের কারখানায় ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বুধবারই তাদের সবাইকে মোবাইলে কল করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি পর্যন্তই তাদের কারখানা বন্ধ থাকবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি সারাবাংলাকে বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সাধারণ ছুটি পর্যন্ত  সময় শ্রমিকদেরও ছুটিতে রাখার পক্ষে। সবকিছু বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের ছুটি দিতে আপত্তি কী? কারখানা চালু করে শ্রমিক ও দেশকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া কাম্য নয়। আরও বেশ কয়েজন নেতাও এখন গার্মেন্টস খোলার পক্ষে নয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন