বিজ্ঞাপন

কোভিড-১৯: কবে ও কীভাবে কমবে এই মহামারি?

April 2, 2020 | 8:36 pm

আমাদের পৃথিবী এখন এক অভূতপূর্ব সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে এটি একটি অতুলনীয় বৈশ্বিক ঘটনা, যা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের অভিজ্ঞতায় নেই। এই ঘটনা বা দুর্ঘটনা নতুন একটি করোনা ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট কোভিড-১৯ মহামারি, যা ইতোমধ্যেই কাঁপিয়ে দিয়েছে মানব সভ্যতার ভিত্তিমূলকে। বিশ্বের ২০০টি দেশে এই মহামারি আঘাত হেনেছে, এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষের ওপর এবং এই সংখ্যা প্রতি মূহুর্তে বাড়ছে। মৃত্যুর সংখ্যা বিশ হাজার, ত্রিশ হাজারের গণ্ডিপার হয়ে ছাড়িয়ে গেছে চল্লিশ হাজারের ঘর। কোভিড-১৯ এর প্রভাবে দেশে দেশে থমকে গেছে জনজীবন; অফিস-আদালত-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গেছে বন্ধ হয়ে, অলিম্পিক গেমস পিছিয়ে গেছে, থেমে গেছে ক্রীড়াজগতের প্রায় সবগুলো ইভেন্ট। পত্রিকার পাতায় উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ বিগ্রহের খবর নেই, খবর নেই রাজনীতি-নির্বাচনের, অপরাধের খবর খুবই কম, খবর এখন শুধু মহামারির। দেশগুলি সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশনের পাশাপাশি জারি করছে একের পর এক লকডাউন। পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় ঘটছে এ সব শব্দের, তাদের পোশাকে এসেছে পরিবর্তন; মুখে উঠেছে মাস্ক। রোগ থেকে রক্ষা পেতে সরকার ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের প্রচারণা ও আহ্বানে মানুষের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ধারণায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

বিজ্ঞাপন

মানুষের জীবনযাত্রায় এ বাধ্যতামূলক পরিবর্তন রোগের বিস্তার রোধে কার্যকরী হলেও এ অবস্থা বেশিদিন চললে বিশ্ব স্থবির হয়ে যাবে, সন্দেহ নেই। এই স্থবিরতার লক্ষণ ইতোমধ্যেই আমাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। মহামারি এবং এ মহামারির কারণে গৃহীত পদক্ষেপে সর্বপ্রথম ভুক্তভোগী হয়েছেন ও হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভর করেন। এ শ্রেণীতে রয়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক, গণপরিবহণের হেল্পার, গৃহকর্মী-এরা। গার্মেন্টসকর্মীদের রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক দেশে; কৃষক, খামারিদের পণ্য পরিবহনে সৃষ্টি হয়েছে সংকট। শেয়ারবাজারে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধ্বস দেখা যাচ্ছে সমগ্র বিশ্ব এখন একটি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি, যার রেশ আমাদের টানতে হবে দীর্ঘকাল।

এখন, এই সময়ে যে প্রশ্নগুলো অনেক মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হলো- এই মহামারি পৃথিবীতে কতদিন চলবে? কবে স্বাভাবিক হবে বসুন্ধরা? আসলে এক কথায় এর উত্তর দেয়া অসম্ভব। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে এমন কোনো অলৌকিক বোতাম নেই যে, যেটা চেপে বলে দেয়া সম্ভব- এখন থেকে বিশ্ব করোনামুক্ত। সংক্রামক রোগের প্রকোপ কমার ক্ষেত্রে রোগতত্ত্ব (epidemiology) তিনটি পদ্ধতির কথা বলে, যেগুলো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে স্বীকৃত পদ্ধতি। এই লেখায় সেই পদ্ধতিগুলোর কথা সংক্ষেপে আলোচনা করছি এবং সেই সাথে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী যে ভাইরাস, সেটি কীভাবে দুর্বল হতে পারে, কীভাবে এটি মানবসমাজে হয়ে উঠতে পারে কম ক্ষতিকর।

ভ্যাকসিন প্রয়োগ
‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির সাথে অনেকেই পরিচিত। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন প্রয়োগই এ পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি। ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে? ল্যাবরেটরিতে তৈরি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার একটি দুর্বল রূপ বা ফর্মকে ভ্যাকসিন হিসেবে দেহে প্রয়োগ করা হয়। এটিদেহে রোগ সৃষ্টি করতে পারে না; কিন্তু এর বিরুদ্ধে দেহের ইমিউন সিস্টেম তৈরি করে অ্যান্টিবডি। এই অ্যান্টিবডির স্মৃতিতে ঐ নির্দিষ্ট ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার গঠন ও কাজের পদ্ধতি জমা হয়ে থাকে। পরবর্তীতে যদি এই নির্দিষ্ট ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করে, ঐ অ্যান্টিবডি এই ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়াকে চিনতে পারে এবং একে মেরে ফেলে। এতে করে দেহ ঐ রোগটিতে আক্রান্ত হয় না। মোটামুটিভাবে এই হচ্ছে ভ্যাকসিনের কার্যপদ্ধতি। যে ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে হবে, ভ্যাকসিন তৈরিতে সুতরাং ঐ ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়ার গঠন জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে নতুন ধরণের একটি করোনাভাইরাস বর্তমান মহামারির সূচনা করে এবং জানুয়ারি ২০২০-এর শুরুতে চীনের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়্যান্স প্রকাশ করেন। এই জিনোম সিকোয়্যান্স থেকে জানা যায় ভাইরাসটির গঠন, কীভাবে এটি মানবদেহের কোষে সংযুক্ত হয় ও রোগ সৃষ্টি করে– এবং এই তথ্যগুলো থেকে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরি কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ৩৫টি ঔষধ কোম্পানি কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরিতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে এবং গবেষণা অব্যাহত আছে এর মধ্যে চারটি কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিনপশুর দেহে প্রয়োগ করা হয়েছে ট্রায়াল হিসেবে

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনভিত্তিক একটি কোম্পানি মানুষের দেহে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে এবং আমরা তার ফলাফল জানার অপেক্ষায় আছি। নতুন ঔষধ বা ভ্যাকসিন মানব সমাজে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রয়োগের আগে একে বেশ অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে আসতে হয়। প্রাথমিকভাবে পশুর দেহে প্রয়োগের পর ফলাফল বিশ্লেষণ করে অন্তত দুটি বা তিনটি ধাপে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের দেহে এর ট্রায়াল প্রয়োগ করা হয়, যার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন বা ঔষধকে কার্যকর এবং নিরাপদ বলা চলে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিও প্রয়োজন বিভিন্ন ধাপে।

কোভিড-১৯ রোগটির ভ্যাকসিন গবেষণা বর্তমানে যে পর্যায়ে আছে, তা থেকে বলা যায়- সর্বসাধারণের জন্য এই ভ্যাকসিন অন্তত এক থেকে দেড় বছরের আগে সহজলভ্য হবে না। ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ- ভাইরাস টিকে থাকার জন্য ক্রমাগত মিউটেশনের মাধ্যমে তার জেনেটিক গঠন পরিবর্তন করে। নতুন করোনা ভাইরাসটি এদিক দিয়ে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে তার মিউটেশন ঘটিয়ে চলেছে এবং এই সংখ্যা প্রায় ৪০০ বার। এতবার মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটি হয়ে উঠেছে আরও প্রাণঘাতী। এই বারবার বদলে যাওয়া রূপের ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি এবং তার প্রয়োগ- মানবসভ্যতার জন্য একটি বিরাট যুদ্ধের মতো, যে যুদ্ধের অংশীদার আমরা সবাই।

বিজ্ঞাপন

হার্ড ইমিউনিটি
মানব সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশে কোনো রোগের টিকা বা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে পুরো মানব সমাজ এর ফল ভোগ করে; অর্থাৎ ঐ রোগটি আর মানুষের দেখা দেয় না। এই পদ্ধতিটির নাম হার্ড ইমিউনিটি (herd immunity)। সাধারণভাবে কোনো জনগোষ্ঠীর ৮০% মানুষকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে (হামের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এটি ৯০%-এর কাছাকাছি) রোগ প্রবাহের চেইনটি ভেঙে যায় এবং ঐ জনগোষ্ঠীর বাকিদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ না করলেও তারা রোগটিতে আক্রান্ত হয় না।

হার্ড ইমিউনিটির এই ধারণার ওপর ভিত্তি করেই ১৯৭৭ সাল নাগাদ পৃথিবী থেকে গুটিবসন্ত নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিলো। শুধু ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রেই নয়, কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মাঝে কোনো সংক্রামক রোগ কোনো নির্দিষ্ট ব্যাপ্তিতে ছড়ালে রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার পর তাদের মাঝে ঐ রোগের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি তৈরি হয়, এবং এতে করে ঐ জনগোষ্ঠীর যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়নি, তারাও ঐ রোগের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি অর্জন করে এবং এই রোগে আক্রান্ত হয় না।

যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ মহামারির শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দেশে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব ও লক ডাউনের পরিবর্তে এই হার্ড ইমিউনিটি তত্ত্বের কথা বলেছিলেন। সে দেশের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্সও এ কথাকে সমর্থন করে বলেছিলেন- যদি যুক্তরাজ্যের ৬০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়, তবে সমগ্র যুক্তরাজ্যে এই রোগের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হতে পারে। কিন্তু এ বিষয়ে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এর অধ্যাপক মার্টিন হিব্বার্ড-এর বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন- “হার্ড ইমিউনিটির এই তত্ত্ব সঠিক হলেও জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশটি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ইমিউনিটি অর্জন করবে,- এই আশার ওপর ভিত্তি করা রোগ প্রতিরোধের খুব ভালো পদ্ধতি নয়’’।

হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হওয়ার যে শর্ত রয়েছে, অর্থাৎ জনগোষ্ঠীর বৃহদংশকে এই রোগে আক্রান্ত হতে হবে, সুস্থ হতে হবে এবং এদের মাঝে যে ইমিউনিটি অর্জিত হবে, সেটি তাবৎ জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ইমিউনিটি দেবে- এই শর্ত কি কোভিড-১৯ রোগের ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হবে? তত্ত্বগতভাবে হার্ড ইমিউনিটি রোগ প্রতিরোধের একটি পদ্ধতি হলেও কোনো রাষ্ট্রেরই এই হার্ড ইমিউনিটির ওপর ভরসা করে থাকা ঠিক হবে না। কারণ- আমরা এখনও জানি না নতুন করোনা ভাইরাসটি কত মানুষের মৃত্যুর কারণ হবে। পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না। দ্বিতীয়ত, এই ভাইরাসটি যেভাবে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে রূপ পরিবর্তন করছে, তাতে এর একটি রূপ দিয়ে কেউ আক্রান্ত হয়ে ইমিউনিটি অর্জন করলেও তার এই অর্জিত ইমিউনিটি হার্ড ইমিউনিটির ক্ষেত্রে কোনো অবদান রাখবে না, যদি ভাইরাসটির অন্য রূপ দিয়ে কেউ আক্রান্ত হয়। কোভিড-১৯ মহামারি রুখতে আপাতত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত পরিষ্কার রাখা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজনবোধে লকডাউন- এর বিকল্প নেই। একই সাথে প্রতিটি সন্দেহজনক কোভিড-১৯ রোগীর ল্যাবরেটরি পরীক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

স্বাভাবিকভাবে রোগের প্রকোপ কমে যাওয়া
ভিরুলেন্স (virulence) বা রোগের তীব্রতা সৃষ্টির ব্যাপারটি যদি বিবেচনায় আনা হয়, ফ্লু (flu)-এর জন্য দায়ী ভাইরাসগুলি অন্যান্য ভাইরাসের মতোই জনসমাজে প্রাণঘাতী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে কম মারাত্মক সিজন্যাল ফ্লু (seasonal flu) তে পরিণত হয়েছে, এমন ইতিহাস পাওয়া যায়। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিভিন্ন রূপ পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে মহামারি সৃষ্টি করেছে এবং এর কয়েকটি রূপ হারিয়েছে তার মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করার ক্ষমতা। ভাইরাসের মিউটেশন ভাইরাসের গঠনগত পরিবর্ত করে; কিন্তু এই তথ্য ঠিক নয় যে-প্রতিবার মিউটেশনেই ভাইরাসটি আরও মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করবে। স্বাভাবিকভাবে কোভিড-১৯ রোগের প্রকোপ কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই মতবাদ আমাদের আশাবাদী করে তুলতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ সেন্টারের সংক্রামক রোগ গবেষক ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন এই মত সমর্থন করে বলেন- “আমরাসম্ভবত এমন একটি ভাইরাসের সাথে দীর্ঘসময়ের জন্য সহাবস্থান করতে যাচ্ছি, যেটি মহামারির তীব্রতা কমে আসার পর প্রতি বছরই আসবে।”

কোভিড-১৯ মহামারির তীব্রতা কবে কমে আসবে, কবে স্বাভাবিক হবে জনজীবন, তার কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা এই মূহুর্তে কার্যত সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেনে যে ভয়াবহ আকারে মানুষের মৃত্যু ঘটছে, সেটি অদূর ভবিষ্যতে আরও দেশে ঘটবে না- তাও বলা যাচ্ছে না। নিবিড় গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষেধক হয়তো আবিষ্কার হবে; কিন্তু এখন বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকের উচিৎ হবে- যতদূর সম্ভব জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলা।

সারাবাংলা/এসবিডিই/আরএফ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন