বিজ্ঞাপন

লকডাউনে বেকার অর্ধকোটি পরিবহন শ্রমিক, রেশন দাবি

April 4, 2020 | 6:30 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: হরতাল-অবরোধেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েনি দেশের পরিবহন খাত। গণপরিবহনে এমন লকডাউন নজিরবিহীন। ফলে হঠাৎ বেকার হয়ে পড়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্ট ৫০ লাখ লোক। পরিবহন সংগঠনগুলো দাবি করেছে, সারাদেশে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন কমপক্ষে ৫০ লাখ। আর সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ জানিয়েছে, লকডাউনে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ৭১ লাখ পরিবহন শ্রমিক।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, বাস মালিকরা এই দুঃসময়ে তাদের পাশে নেই। হাজার হাজার শ্রমিক না খেয়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের পাশে না দাঁড়ালে কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না। দ্রুত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রণোদনা দাবি করে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী জানান, তাদের সংগঠনের হিসেবে পরিবহনে সারাদেশে ৫০ লাখ শ্রমিক রয়েছেন। এর মধ্যে কেবল বাস শ্রমিক রয়েছেন ৭ লাখ। যারা দিন আনে দিন খায়। এদের রেশনের দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিক শুধু বাসচালক বা হেলপার নয়। মিনিবাস ট্রাক কাভার্ড ভ্যান অটোরিকশা ট্যাংক লরিসহ ১৯ ধরনের পরিবহন রয়েছে যা দেশের সড়ক পথে চলে। এদের সবাই এখন বেকার।’

বিজ্ঞাপন

মহাখালী বাস টার্মিনালের চালক হোসাইন আহমেদ জানান, গত কয়েক বছরে পরিবহনের ওপর হরতাল-অবরোধসহ নানা সংকট ছিল। কিন্তু সে সময় পরিবহন বন্ধ হয়নি। তার ২০ বছরের চালক জীবনে এমন অবস্থা দেখেননি যে গণপরিবহন পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘পরিবহন লকডাউন থাকায় সরাসরি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন শ্রমিকরা। মালিকরাও পরিবহন বন্ধ রেখে লোকসান গুনছেন। সংগঠন থেকে পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে তার মালিকানাধীন এনা পরিবহনের শ্রমিকদের মধ্যে জরুরি আর্থিক অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। তবে বড় বড় বাস কোম্পানির অন্য পরিবহন মালিকরা তাদের শ্রমিকদের পাশে এখনও দাঁড়াননি বলেও জানান তিনি।

এদিকে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জরুরি রেশন সহযোগিতা চায় পরিবহন শ্রমিকরা। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ জানান, শ্রমিকরা যেমন বেকার পড়েছে ঠিক তেমনি মালিকরাও বিপাকে। করোনার কারণে যানবাহন না চলায় ব্যাংক ঋণে কেনা গাড়ির ঋণ শোধ কিভাবে করবেন- তারই চিন্তায় পড়েছেন। ‘এই অবস্থায় সরকার পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকদের পাশে না থাকলে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বা পরিবহন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে’, বলেন শুভঙ্কর ঘোষ।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার গত ২৪ মার্চ থেকে গণপরিবহনে লকডাউন ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই সারা দেশই কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএ/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন