বিজ্ঞাপন

১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের আহ্বান বিজিএমইএর

April 4, 2020 | 9:57 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে এক অডিও বার্তায় মালিকদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।

মালিকদের উদ্দেশে রুবানা হক বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখতে আপনাদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

এছাড়া সঙ্গত ও মানবিক কারণে কারখানায় উপস্থিত হতে না পারলে শ্রমিকদের চাকুরিচ্যুত না করার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, কারখানা চালু রাখার ব্যপারে শুরু থেকেই অনড় ছিল বিজিএমইএ। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও এই সময়ে কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। তবে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। সাধারণ ছুটির মধ্যে কারখানা চালু হওয়ায় বিভিন্ন জেলা শহর থেকে শ্রমিকরা হেঁটে ঢাকায় ফিরছেন এমন খবর পাওয়া গেছে। পোশাক কারখানা খোলা রাখায় দিনভর এর সমালোচনা করেছেন বিশিষ্টজনরা। ফেসবুকও মেতেছে সমালোচনায়। কারখানা চালুর মধ্যমে পুরো দেশকেই করোনার ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য তাদের। এ নিয়ে একাধিকবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছে বিজিএমইএ সভাপতি। শনিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অনড় থাকলেও পরে অডিও বার্তায় কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানান মালিকদের।

দিনভর সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রুবানা রাতে এক অডিও বার্তা পাঠান। রুবানা হক বলেন, ‘শ্রমিক যদি কোনো কারণে এবং সঙ্গত কারণে উপস্থিত না থাকেন কারখানায় মানবিক বিবেচনায় তার চাকরিটি হারাবেন না। এটি আমাদের প্রত্যেক সদস্যদের কাছে অনুরোধ করব। আমি আশা করি, এই শিল্পখাত যেটি অর্থনীতিতে এতবড় অবদান রাখে সেই মালিকেরা তাদের শ্রমিকের অনুপস্থিতির কারণে চাকরি না হারান। আশা করি, সদস্যরা এটি শুনবেন এবং আমার অনুরোধটুকু রাখবেন।’

বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে। আমাদের কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর আমাদের যে সার্কুলার দিয়েছিলেন তাতে স্পষ্ট করে লেখা আছে যে সমস্ত রফতানিমুখী শিল্পে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আছে এবং যারা পিপিই বানাচ্ছে, যাদের উৎপাদন কার্যক্রম চলমান আছে সেই সমস্ত শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে সুনিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। কাজেই আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্বটি হলো, কীভাবে আমরা আমাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তাটি দেব। এটি প্রথম। দ্বিতীয় জায়গাটি হলো মার্চ মাসের বেতন নিয়ে কোনো রকম অনীহা অনাগ্রহ কোনোকিছুর অবকাশ নেই। মার্চ মাসের বেতন আমাদের শ্রমিকরা পাবেনই। এটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এটি আমাদের যত কষ্ট হোক, যাই হোক আমরা মার্চ মাসের বেতন দেব।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান রাতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত সকল নিট পোশাক কারখানা আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন

১০ তারিখ পর্যন্ত ছুটি দেওয়ার আহ্বান বিকেএমইএর

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন