বিজ্ঞাপন

মিডল অর্ডারেই স্বাচ্ছন্দ্য মিঠুনের

April 6, 2020 | 1:42 pm

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে মোহাম্মদ মিঠুন ব্যাটিং করেছেন ওপেনার হিসেবে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট যখন শুরু করেন তখনও ইনিংসের গোড়াপত্তন করতেন। কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে এসেই তার অর্ডারটা বদলে গেল। নামতে হত, চারে কি পাঁচে। অবশ্য অন্য কোনো কারণে নয়, ফরম্যাটের খাতিরেই। কেননা লংগার ভার্সনের ক্রিকেটে কিপিং করে ওপেনিংয়ে নামাটা বস্তুতই কঠিন। ওই যে শুরু এরপর আর কখনোই একটি নির্দিষ্ট অর্ডারে থিতু হতে পারেননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন, তেমনই জাতীয় দলেও। কখনো তিনি ওপেনার, কখনো বা মিডল অর্ডার। যদিও এ নিয়ে তার কোনো খেদ নেই আর কাউকে দায়ীও করেন না তিনি। বরং বাস্তবতা নিয়ে দলের যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানেই ব্যাটিং করে যাচ্ছেন। তবে যেহেতু মোটামুটি লম্বা একটি সময় যাবৎ মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করে আসছেন এখানেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ জাতীয় দলে মিঠুনের অভিষেক হয়েছিল ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে লাল সবুজের হয়ে প্রথমবার মাঠে নেমেছিলেন তখনকার ২৩ বছর বয়সী তরুণ। ওয়ানডেতে অভিষেকও ওই বছরেই, ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ দিয়ে। কিন্তু ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই দুই ফরম্যাটের একটিতেও তাকে নিয়মিত টাইগার স্কোয়াডে দেখা যায়নি। এই চার বছরে তিনি ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র ২টি আর টি-টোয়েন্টি ১২টি। কেন নিয়মিত হতে পারেননি? একবাক্যে বলে দেওয়া যায়, টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপর ভরসা রাখতে পারেননি বলেই। যেহেতু তখনো তার টেস্ট অভিষেক হয়নি তাই সে আলোচনায় না যাওয়াই ভালো।

কিন্তু ২০১৮ সালটা যেন তার জন্য আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে এল। সংযুক্ত আরব আমিরতে বসল এশিয়া কাপের আসর। আর এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইয়ের মঞ্চ থেকেই মিঠুনের ক্যারিয়ার ইউ টার্ন নিয়ে নিল। ১৫ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৬৩ আর ২৬ সেপ্টেম্বর আবু ধাবিতে সুপার ফোর’র ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ৬০ রানের ইনিংসের পরেই ওয়ানডে দলে নিয়মিত হয়ে উঠলেন মিঠুন। একই বছরের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে হলো তার সাদা পোষাকের অভিষেক। আজ অব্দি খেলেও যাচ্ছেন নিরবিচ্ছিন্ন। মিঠুনও এ বিষয়য়ে একমত। ‘এশিয়া কাপই আমার জন্য টার্নিং পয়েন্ট।’

বিজ্ঞাপন

প্রানঘাতী করোনার অঘোষিত লক ডাউনের সময়ে দেশের আট দশজন সচেতন নাগরিকের মতো মিঠুনও নিজেকে ঘরবন্দী করে রেখেছেন। নেহায়াৎ প্রয়োজন না হলে বাইরে যাচ্ছেন না। ঘরবন্দী সময়টায় কাজ করছেন ফিটনেস নিয়ে। কেননা করোনা শেষ হলেই যে মাঠের যুদ্ধে নেমে পড়তে হবে।

মুঠোফোনে সারাবাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব জানালেন ২৯ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। কথা বলেছেন সমসাময়ীক নানান প্রসঙ্গেও। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা তুলে ধরা হলো-

সারাবাংলা: দীর্ঘদিন যাবৎ আপনি জাতীয় দলের আশপাশে আছেন। কিন্তু আপনার জায়গাটা এখনো পাকাপোক্ত হয়নি। এটা আপনাকে কতটা ভাবায়?

বিজ্ঞাপন

মিঠুন: ভাবতে তো হবেই। কেননা যে বিষয়টা আমার সঙ্গে ঘটছে আমি তা অবজ্ঞা করতে পারব না। তাই ভাবতে হবে। এবং ভাবার সঙ্গে সঙ্গে কাজটাও করতে হবে। অবশ্যই আমার দিক থেকে আমি সৎ। এবং সবসময় চেষ্টা করি শতভাগ দিয়ে কাজ করতে। তবে আমি যেরকম পরিশ্রম করি হয়তবা আশানুরূপ পারফরম্যান্সটা আসেনি। কিন্তু এটা যে আসবে না আমি তা কখনোই মনে করি না। সবসময়ই আমার ভেতরে সেই আত্মবিশ্বাসটা আছে যে এটার ফল আজ না হোক কাল আমি পাব। সেজন্য আমাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং সঠিক কাজটা করে যেতে হবে।

সারাবাংলা: আপনার ক্যারিয়ারের বাঁক বদল হয়েছে গত এশিয়া কাপে। আপনি একমত?

মিঠুন: যদি আপনি জাতীয় দলে ফেরার কথা বলেন তাহলে অবশ্যই এশিয়া কাপ ছিল আমার জন্য ফেরার টুর্নামেন্ট। কারণ একটা লম্বা সময় দলে ছিলাম না। এরপর এখানে পারফর্ম করে দলে ফেরা। কারণ এশিয়া কাপের পর থেকেই আমি ধারাবাহিকভাবে জাতীয় দলে খেলছি। বর্তমানে আমি যে অবস্থায় আছি আমার প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো জায়গায় ছিল। আরেকটু ধারাবহিক হতে পারলে অবশ্যই ভালো হত। কারণ এখনো আমি এক ম্যাচ খারাপ খেললে কথা ওঠে। মিডিয়াতে বলেন যেকোনো জায়গায় বলেন। এটা কোনো প্লেয়ারের জন্য ভালো কোন দিক নয়। ভালো না বলতে নিজের মধ্যে সবসময়ই একটা বাড়তি চাপ থাকে যে খারাপ খেললে আবার বাদ পড়তে হবে। আমি আরেকটু ধারাবাহিক হলে হয়ত কথাগুলো উঠত না। আমিও আরেকটু স্বাধীনভাবে খেলতে পারতাম। আর তা হলে আরেকটু ভালোভাবে খেলা সম্ভব হত।

সারাবাংলা: আপনি একজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু জাতীয় দলে আপনাকে নিচে ব্যাটিং করতে দেখা যায়। আপনার কি মনে হয় না আপনি ওপরের দিকে ব্যাটিংয়ের দাবীদার?

বিজ্ঞাপন

মিঠুন: দেখেন আমি যখন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেছি তখন ছিলাম ওপেনার। তারপরে যখন প্রথম দিকে প্রিমিয়ার লিগে খেলি তখনও ওপেন করতাম। প্রথম শ্রেণিতে কিপিং করতাম বলে ওপেনিং করা হয়নি। কারণ লঙ্গার ভার্সনে কিপিং করে ওপেনিং করাটা কঠিন। তখন আমি ব্যটিং করতাম চারে বা পাঁচে। তো আমার ক্যারিয়ারে ব্যাটিং অর্ডারটা কখনোই ঠিক ছিল না। শুধু জাতীয় দল না, যে জায়গায়ই খেলতে গিয়েছি নির্দিষ্টস্থানে ব্যাটিং পেয়েছি তা কিন্তু না। এমনকি শেষ বিপিএলেও আমি প্রথম ম্যাচে ৮৭ রানে অপরাজিত ছিলাম তিনে নেমে। পরের ম্যাচে ২০ করেছি। তারপরের ম্যাচে চারে চলে গিয়েছি। এই রকম সবসময়ই আমার অর্ডারটা বদলে যায়। একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকলে অবশ্যই প্রতিটি প্লেয়ারের জন্য ভালো। তাহলে ওই জায়গাটায় সে ফোকাস করতে পারে।

সারাবাংলা: তাহলে কোন জায়গা ব্যাটিং করলে আপনি নিজেকে ফোকাসড রাখতে পারবেন?

মিঠুন: এখন আমি পছন্দ করি মিডল অর্ডারে। যেহেতু লম্বা সময় ধরে আমি মাঝখানেই ব্যাটিং করছি। মিডল অর্ডার মানে চার পাঁচে হলে সময়টা বেশি থাকে। বড় স্কোর করার সম্ভাবনাটা বেশি থাকে।

সারাবাংলা: অনেকেই বলে থাকেন আপনার শরীরী ভাষায় মারমার কাটকাট ভাবটি নেই। আবার এটাও ঠিক আপনি বড় শটস খেলতে পারেন। এ ব্যপারটি কি আপনাকে ভাবায়?

মিঠুন: সত্যি বলতে কি মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্টের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বিষয়টি হচ্ছে আমি মাঠে শতভাগ ফোকাসড থাকি সেটা আমি জানি। কখনোই ঢিলেঢালা থাকি না। ব্যাটিংয়ে আমার স্ট্রাইক রেটটা গুরুত্বপূর্ণ। ধরেন, ব্যাটিংয়ে নেমে সুন্দর একটা কাভার ড্রাইভ খেললাম, দেখতে খুব সুন্দর লাগল। কিন্তু আমি ১৫ বলে ওই চার রানই করেছি। তাহলে কী আমি আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হয়ে গেলাম বা ইতিবাচক ব্যাটসম্যান হয়ে গেলাম? একটা মাত্র সুন্দর শটস খেলেছি বাকি সব ডট খেললাম। আমার কাছে ওইটা থেকে গুরুত্বপূর্ণ আমি ১৫ বলে কি করে ২০ রান করতে পারি। স্ট্রাইক রোটেট করলাম, বাউন্ডারি মারলাম। দেখতে তো সবাই পৃথিবীতে একরকম হয় না। সবার শরীরী ভাষাও একরকম হয় না। দেখেই বলে দেওয়া উচিত না কে কেমন। আমি কেমন তার প্রমাণ কাজে।

সারাবাংলা: ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে এদেশের তিনজন ক্রিকেটার ইনিংস গড়তে জানেন। একজন তামিম ইকবাল, আরেকজন মুশফিকুর রহিম আর একজন হলেন আপনি। এটা আপনাকে কতটুকু আপ্লুত করে?

মিঠুন: অনেক বড় পাওয়া আমার জন্য। দেখেন গঠনমূলক সমলোচনা সবসময়ই হওয়া প্রয়োজন। আমি চাই না আমাকে নিয়ে সবসময় ইতিবাচক কথা হোক বা মাতামাতি হোক। আমি খারাপ করলে তা ধরিয়ে দেওয়া উচিৎ এবং ভালো করলে প্রশংসা করা উচিত। তাহলে যেটা হবে যে খারাপটা আমি করেছি সেটা ভালো করার চেষ্টা করব। আর যেটা ভালো করছি সেটা ধরে রাখবো। এতে করে আমার কাজের প্রতি আগ্রহটা আরো বাড়বে।

সারাবাংলা: আপনার বেশ কয়েকটি ইনিংস ৪০-৫০ এর আশপাশে গিয়ে থেমে গেছে। এগুলো বড় হলে জাতীয় দলে আপনার জায়গাটা আরো স্থায়ী হত কিনা?

মিঠুন: অবশ্যই! আমি মনে করি বড় ইনিংস অবশ্যই আমার দরকার আছে। কিন্তু সেটা ম্যাচ উইনিং হতে হবে। আমি হয়তবা ১০ রান করব কিন্তু সেটা যেন ম্যাচ জেতায় কাজে লাগে। আর আমি আমি যদি ৭০-৮০ রানও করি কিন্তু দল ম্যাচ জিতল না, তাহলে লাভ নেই। আমরা ১১ জন মাঠে নামি ম্যাচ জিততে। প্রতিটি প্লেয়ারই চেষ্টা করে সে কিভাবে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারে। আমি মনে করি ওই রানগুলো বড় হলে অবশ্যই দলের কাজে দিত। এবং সেটা ম্যাচ উইনিং হলে আমার সন্তুষ্টি ১শত ভাগ থাকত।

সারাবাংলা: আপনি একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তো জাতীয় দলে কি আপনি এই ভূমিকায় খেলতে চান নাকি শুধুই ব্যাটসম্যান হিসেবে?

মিঠুন: কঠিন প্রশ্ন! এই কারণেই বলছি বর্তমান জায়গা থেকে এটা চিন্তা করতে পারছি না। কারণ আমি দলের থার্ড অপশন। জাতীয় দলে কিপার ব্যাটসম্যানের জায়গায় আমি তিনে। কারণ মুশফিক ভাই (মুশফিকুর রহিম) কিপিং না করলে লিটন দাস করে। তারপরে যদি দরকার হয় আমি করি। ধরেন ভারতে গোলাপি বলের টেস্টে আমাকে কিপ করতে হয়েছে কারণ তখন কোনো অপশন ছিল না। এই কারণে আমি জাতীয় দলে কিপিংয়ে ফোকাস করি না। কারণ ফিল্ডিংটাও ওখানে গুরুত্বপর্ণ। আপনি ভালো ফিল্ডিং করেও দলকে সাহায্য করতে পারেন। আমি যদি ওখানে কিপিংয়ে ফোকাস করি আমার ফিল্ডিংয়ের যে সময়টা বা ব্যাটিংয়ের সময়টা কমে আসে। তাই বাস্তবতা বুঝেই ওখানে ফিল্ডিং ও ব্যাটিংয়ে সময় দেই। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই কিপিং করেছি এবং ঘরোয়া লিগে করছি। তাই কখনোই ভুলে যাই না যে আমি একজন উইকেটকিপার।

সারাবাংলা: ক্রিকেটের শুরুটা করেছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। ফলে আপনার পেস বলই ভালো খেলার কথা। যেহেতু ওই সময় পেসারদের মোকাবিলা করতে হয়। কিন্তু আপনি স্পিনও অসাধারণ খেলেন। রহস্য টা কী?

মিঠুন: আমি প্রথমেই বললাম যে সব অর্ডারেই আমার ভাগ্য হয়েছে। বয়ষভিত্তিক ক্রিকেটে যখন ওপেন করতাম তখন স্পিনারদের শুধু মারতে পারতাম, রোটেট করতে পারতাম না। ধরেন বড় শটস খেলতাম, ছয় মারতাম খুব ভালো। আর যখন মিডল অর্ডারে এলাম তখন দেখলাম শুধু ছয় মারলেই হবে না কারণ ফিল্ডার তখন মাঠের চারপাশে ছড়িয়ে থাকে। স্কোর বড় করতে হলে স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে। তখন আমি অনুশীলন শুরু করলাম এবং আয়ত্তে আনলাম।

বাংলাদেশ 'এ'

সারাবাংলা: আপনার যে বয়স এবং বাংলাদেশ দলে যে প্রতিযোগিতা তাতে খারাপ খেললে বাদ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল যেহেতু নতুনদের অনেকেই আপনার জায়গায় প্রমাণ করেছে। এটা আপনাকে কতখানি ভাবায়?

মিঠুন: দেখেন, আমি যদি এভাবে চিন্তা করি তাহলে খেলতে পারব না। প্রতিযোগিতা থাকবেই। দুনিয়াটাই এভাবে চলছে, আপনি যতদিন দিতে পারবেন ততদিনই আপনার কদর থাকবে, না পারলে আপনাকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। কেননা এই জায়গাটা কারো জন্য নির্ধারিত নয়। এটা বাস্তবতা এবং এটা মেনে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ আর সেই অনুযায়ী কাজ করাটাও। আপনি আমার বয়সের কথা বলছেন তো? আমার ক্যারিয়ারটাই এই রকম। দেখেন এখন একজন তরুণ প্লেয়ারকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি। আমি জাতীয় দলে ঢুকেছি অনেক আগে, অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেই ঢুকেছি। ওই সময়ে এই সংস্কৃতি ছিল না। ওই সময় এমন ছিল, সফরে গিয়েছি, ফিরে এসেছি, বাদ। কোনো কারণ ছিল না। এমনও হয়েছে একটা ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছি আবার বাদ। যতবার বাদ পড়েছি ফিরতে দুই তিন বছর লেগে গিয়েছে। তখন কিন্তু আমাকে টানা ১০ ম্যাচ সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমি বাদ পড়ে অভ্যস্ত। তবে যেতেহু মাঝ বয়সে আছি অবশ্যই আমার ভুল কম করা উচিৎ।

সারাবাংলা: করোনার সময়টা কীভাবে পার করছেন?

মিঠুন: বাসায় পরিবারকে সময় দিচ্ছি, নিজের ফিটনেস ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। কারণ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই মাঠে নামতে হবে। স্কিলটা হয়ত ম্যানেজ করা যাবে। কিন্তু ফিটনেসটা চলে গেলে ফেরাতে অনেক সময় লাগবে।

সারাবাংলা: আপনাকে ধন্যবাদ।

মিঠুন: আপনাকেও।

আরো পড়ুন:

মিডল অর্ডারেই স্বাচ্ছন্দ্য মিঠুনের

নিজের জায়গা ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী সাদমান

বাতাসে বল ঘুরাতেই নাঈমের যত আনন্দ

করোনা থামিয়ে দিয়েছে সৌম্য’র বিশ্বকাপ ভাবনা

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটাই আমাদের টার্নিং পয়েন্ট ছিল: আকবর

বিশ্বকাপে আমাদের এক-দুইটা ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল: জেসি

‘এমনভাবে ফিরতে চাই যেন আর বের হতে না হয়’

সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে চান নাঈম

নেইমারের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পান সাইফউদ্দিন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন