বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদেরকে বাসা থেকে বের হতে মানা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

April 7, 2020 | 2:21 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাসের সংকট চলাকালীন সময়ে সতর্ক চলাফেরার কারণে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় নোয়াখালী জেলায় কথা বলার সময় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দুই বিভাগের ১৫টি জেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।

নোয়াখালী জেলার সন্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিং উপস্থিত ছিলেন না। এদিকটার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাথে অবশ্য মন্ত্রী থাকতে পারত। কিন্তু তাকে (ওবায়দুল কাদের) আমি বাসা থেকে বের হতে মানা করেছি। কোথাও যেতেও না করেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এমন কড়া নির্দেশনার কারণে ওবায়দুল কাদের গত কয়েকদিন থেকে ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়েও উপস্থিত হচ্ছেন না। তিনি তার জাতীয় সংসদ ভবনের ভিতরে সরকারি বাসভবনে বসেই ভিডিও কনফারেন্সেও সমসাময়িক ইস্যুতে গণমাধ্যমে কথা বলছেন।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসক নোয়াখালী জেলার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভিন্ন করণীয় ও পদক্ষেপ তুলে ধরেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মমিনুর রহমান মতবিনিময় করেন। তিনি নোয়াখালী জেলার করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের দাবি করেন।

তার দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের হাসপাতালটা কত বেডের?’ জবাবে জেলা সিভিল সার্জন বলেন, ‘২৫০ বেডের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু আমাদের এখানে রোগী থাকে ৭০০ থেকে ৮০০ জন।’

তারপর প্রধানমন্ত্রী জেলায় নতুন যে মেডিকেল কলেজ করা হয়েছে তার অবস্থা জানতে জান এবং সিভিল সার্জন কর্মকর্তা বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখনো হয়নি? পুরনো হাসপাতাল পরিত্যক্ত হয়েছে এবং এটার টেন্ডারও আহ্বান করা হয়েছে কিন্তু নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয়নি। সেজন্য সংকটটা আছে।’

বিজ্ঞাপন

করোনা প্রতিরোধে নিয়োজিতরা আক্রান্ত হলে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার বিমা

 

এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের নির্মাণ কাজটা যাতে দ্রুত হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন এবং তিনি বলেন, ‘ওটা তো আধুনিক হাসপাতাল হবে। নতুন যেটা হবে সেটা তো খুব আধুনিক হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যদি একটি অস্থায়ী হাসপাতাল করা হয়, যেভাবে বিদেশে আমরা দেখছি, অস্থায়ী হাসপাতাল করছে।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী যারা বিদেশে থেকে যারা এসেছে তাদের পরীক্ষা করা হয়েছে কি না সে বিষয়টি জানতে জান। তিনি বলেন, ‘যাদের স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা করালেন, এটা তো একবারই পরীক্ষা করা হলো। আমার মনে হয় আরও একবার করলে একদম শিউর হওয়া যাবে। ৭ দিন পরে আরেকবার করলে ভালো হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু নোয়াখালীতে বিদেশি লোক, কেউ যেন এখন আর ঢুকতে না পারে, বের হতেও না পারে। অন্তত যারা আসবে তাদের কোয়ারেনটাইরান করে তারপর আসতে হবে। পারলে আত্মীয়-স্বজনদের বলে দিয়েন, তারা যেন আত্মীয় স্বজনকে আসতে না বলে।’

সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিক আছে আপনারা ভাল থাকেন, নোয়াখালী করোনামুক্ত একটা জেলা এটাই সব থেকে বড় কথা।’

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন