বিজ্ঞাপন

ঝুঁকি নিয়েও কাজ করছেন ঢাকা কাস্টম হাউজের কর্মকর্তারা

April 10, 2020 | 1:45 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের আক্রমণে যখন চারপাশ থমকে যাওয়ার উপক্রম, ঠিক সেই পরিস্থিতিতেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ঢাকা কাস্টম হাউজের কর্মকর্তারা। এমনকি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও দায়িত্ব পালনে গাফিলতি নেই তাদের।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা কাস্টম হাউজে গিয়ে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে সবাই ঘরে থাকলেও রাজস্ব আহরণের জন্য কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এর জন্য তাদের সুরক্ষায় বিশেষ কোনো সরঞ্জামও দেওয়া হয়নি এনবিআরের পক্ষ থেকে। নিজেদের উদ্যোগে কিছু পিপিই, স্যানিটাইজার, মাস্ক ও গ্লাভস দিয়ে কাজ করছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, কাস্টম হাউজে জনসমাগম রয়েছে। তাতে করে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। সেই ঝুঁকি নিয়েই তারা কাজ করছেন। তবে বিভিন্ন পেশাজীবীদের জন বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা বা ভাতার ঘোষণা থাকলেও কাস্টম কর্মকর্তাদের জন্য এমন কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে ঝুঁকিভাতার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার (প্রিভেনটিভ) মো. সোলাইমান হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা দিলেও আমদানি করা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, জরুরি চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবাসামগ্রী, শিল্পের কাঁচামাল, সরকারি/আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আমদানি করা পণ্য, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ, পোল্ট্রি, ডেইরি বা মৎস্য শিল্পের খাদ্য ও উপকরণ এবং কূটনৈতিক সুবিধায় আমদানি করা পণ্য শুল্কায়নসহ খালাস এবং রফতানি ও ইপিজেডের কার্যক্রম সচল রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের ক্রন্তিকালে জরুরি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কমিশনার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধান করেন। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও দেশ ও জাতির কল্যাণে কমিশনারসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ প্রতিনিয়ত অফিসে উপস্থিত থাকছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন