April 13, 2020 | 4:24 pm
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে এবার ঘরে বসেই কাটাতে হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। বাইরে যাওয়া নাই, মঙ্গল শোভাযাত্রা নাই, উৎসব উদযাপন নাই, চারদিকে খাবারের জন্য হাহাকার- সব মিলিয়ে আমাদের মনের কোণে কিছুটা মেঘ। কিন্তু অনাড়ম্বরভাবে পাতে দেশি খাবারে ঘরোয়াভাবে উদযাপন করতে পারি এবারের পহেলা বৈশাখ। অতিরিক্ত বাজার বা অতিরিক্ত আয়োজন নয়। ঘরে থাকা সাধারণ বাজারেই সম্ভব উৎসবটাকে কিছুটা হলেও রাঙানো।
সারাবাংলার পাঠকদের জন্য পহেলা বৈশাখে কিছু দেশি খাবারের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনবিদ ফারজানা আফরোজ ডলি।
উপকরণ
পদ্ধতি
পেঁয়াজ, রসুন টুকরো করে কেটে তাওয়া বা ফ্রাই প্যানে টেলে বা ভেজে রাখুন। শুকনা মরিচও টেলে রাখতে হবে। এবার কালিজিরা খুব ভালোভাবে ভেজে বা টেলে নিন। হালকা আঁচে ধীরে ধীরে ভাজতে হবে। অনেকটা খৈ ফোটার মত শব্দ হবে। এভাবে ভাজলে ভর্তা তিতা হয় না। এবার সবকিছু পাটায় ভালভাবে বেটে নিন। এভাবে ঝটপট কালিজিরার ভর্তা তৈরি করা যাবে।
উপকরণ
পদ্ধতি
চিংড়ি বেছে ধুয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। একটু নরম হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ নাড়তে হবে। এবার এতে সব মশলা দিয়ে দিন। একটু পানি দিয়ে মশলা কষিয়ে নিতে হবে। এবার চিংড়ি দিয়ে অল্প পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। চিংড়ি রান্না হতে বেশি সময় লাগে না। ৪/৫ মিনিট পর এতে টমেটো, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা দিয়ে কয়েক বার নেড়েচেড়ে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে সাজাতে হবে। খিচুড়ি ,পোলাও ও ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
উপকরণ
পদ্ধতি
প্রথমে বটি বা ছুড়ি দিয়ে পটল চেছে নিন। এবার এর মাঝখানে ফেড়ে বিচি বের করে আলাদা করে রাখতে হবে। পটল ধুয়ে নিন।
চুলায় পাতিল বা কড়াইয়ে অল্প পানি, হলুদ, লবণ দিয়ে মাছ সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে কাঁটা বেছে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। এরপর সব মশলা দিয়ে একটু পানি দিয়ে কষাতে হবে। এবার তাতে বাছা মাছ দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে। ভুনা ভুনা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
কেটে রাখা পটলে মাছের পুর ভরে সুতা দিয়ে প্রতিটি পটল বেঁধে দিতে হবে যেন ভাজার সময় পুর বের না হয়ে যায়। চুলায় ফ্রাইপ্যানে বাকি তেল দিয়ে পটল ভেজে নিন। উলটে পালটে ভালোভাবে পটল ভেজে নামিয়ে নিন। সবগুলো পটলের সুতা কেটে পরিবেশন পাত্রে সাজিয়ে রাখুন।
এবার রেখে দেওয়া পটলের বিচির সঙ্গে আন্দাজমতো পেঁয়াজ, রসুন, শুকনামরিচ, লবণ ও ধনেপাতা দিয়ে ফ্রাইপ্যানে দিন। যেটুকু তেল আছে তাতেই ঢেকে একটু পানি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। ভালোভাবে সেদ্ধ হলে পানি শুকিয়ে গেলে নামিয়ে পাটায় বেটে নিতে হবে। পুর ভরা পটলের সঙ্গে এটাও খেতে বেশ সুস্বাদু।
উপকরণ
পদ্ধতি
ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। চুলার আঁচ মাঝারি থাকবে। এতে সব বাটা মশলা, সস, গুঁড়া মশলা, লবণ দিয়ে একটু পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। ডিম দিয়ে ৪/৫ মিনিট ভুনতে হবে। এবার কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিন। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল খিচুড়ির সঙ্গে পরিবেশনের সবচেয়ে সহজ রেসিপি।
উপকরণ
পদ্ধতি
আলু ও ফুলকপি ঘিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এরপর ঘিয়ে পেঁয়াজ, তেজপাতা দিয়ে সামান্য ভেজে নিন। এবার বাকি সবজিগুলো চাল, ডাল, লবণ ও সব মশলা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে পানি দিয়ে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা সবজিগুলিও দিয়ে দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝখানে একবার নেড়ে সবজি, চাল-ডাল উলটে দিন। ৬:২০/২২ মিনিট পর চাল সেদ্ধ হয়েছে কিনা দেখে নিন। সেদ্ধ না হলে ৫/৭ মিনিট তাওয়ায় দমে রাখুন। এবার ঢাকনা তুলে সবজি খিচুড়িতে কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে চেড়ে পরিবেশন পাত্রে বেড়ে নিন।
সারাবাংলা/টিসি/আরএফ