April 14, 2020 | 12:17 am
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রাজধানীর গ্রিন রোড ও পান্থপথ এলাকায় অবৈধভাবে সার্জিক্যাল আইটেম মজুত করার অভিযোগে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। এসময় এ এস ট্রেডিং নামে ওই প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক ফের গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেছে।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ এস ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানে র্যা অভিযান শুরু করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু।
র্যাব-২-এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ব্যবহৃত মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস জব্দ করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বলেন, ‘দেশের বাজারে সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিক্রি করতে হলে ওষুধ প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে হয়। এরপর আমদানি করে বাজারে ছাড়তে হয়। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটির এমন কোনো অনুমোদন ছিল না। এর থেকে গুরুতর অপরাধ হলো— বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের বক্স তারা ধানমন্ডিতে তৈরি করত। পরে সেসব বক্সে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড সংগ্রহ করে গ্লাভস ধুয়ে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করত। অথচ নিজস্ব কোনো অনুমোদন ছিল না।
মাস্ক কোথায় বানিয়েছে— জানতে চাইলে পলাশ বসু বলেন, ‘আমরা তাদের স্টোর রুমে আগে ব্যবহার করে রাখা পণ্য পেয়েছি। একটি নতুন মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দেখলে তো বোঝার কথা। কিন্তু তাদের এগুলো দেখেই বোঝা যায়, এগুলো ব্যবহৃত। এছাড়া মেঝেতে ধূলা-বালির মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা ছিল। কোন কোন জায়গা থেকে এগুলো এনে প্রসেস, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে নজরদারি করা হবে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিটি গ্লাভসের প্যাকেট ১০০ পিস করে থাকে। এর গায়ে মূল্য কিংবা উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ কিছুই ছিল না। এসব পণ্য পাইকারি দামে দোকানিদের কাছে দিয়ে দিত, তারাই (দোকানিরা) তাদের মতো করে দাম বসিয়ে নিত। এখন চাহিদা বেশি থাকায় ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করতেও তারা গায়ে দাম বসায়নি।’ করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর