বিজ্ঞাপন

ঢাকার বায়ুমানে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নাটকীয় পরিবর্তন

April 17, 2020 | 4:13 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট 

ঢাকা: বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালেও রাজধানী ঢাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সে মাত্র ৭৬, সেখানে রাত এগারোটা বাজতেই ১৭২ স্কোরে পৌঁছায় দূষণ। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় উঠে যায় শীর্ষে। যেখানে সকালে শহরটির অবস্থান ছিল তালিকার ২২তম স্থানে।

বিজ্ঞাপন

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ১৭২ স্কোর এর অর্থ হলো— ঢাকায় নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা প্রতিটি মানুষ আবারও বায়ুবাহিত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। যেখানে সকালে বায়ুমান ছিল প্রায় বিশুদ্ধ!

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের চেংডু শহরটি। তবে মজার ব্যাপার হলো, করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন করে দেওয়া চীনের উহান শহরের বাতাস এতদিন বিশুদ্ধ থাকলেও আজকে ফিরেছে দূষণের পুরনো চেহারায়। দূষণ মাত্রা ১২৮ নিয়ে তালিকায় শহরটির অবস্থান আট। শহরের তালিকায় দশ নম্বরে অবস্থান করছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লি। তাদের দূষনমান ১১৬।

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বলছে, ঢাকা আর দিল্লি ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার আর কোন শহরের দূষণের মাত্রাই ১০০ ছাড়ায়নি। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হয়। স্কোর ৫০ এর কম মানে বাতাস পুরোপুরি বিশুদ্ধ।

বিজ্ঞাপন

জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়।

লকডাউন এর মধ্যেও ঢাকার দূষণ মান বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে রাজধানীর চারপাশের ইটের ভাটা গুলি সচল থাকা কারণ হতে পারে বলে মনে করছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

বিজ্ঞাপন

ক্যাপসের পরিচালক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, এখন সব ধরনের কল-কারখানা বন্ধ। গণপরিবহন বন্ধ। এরপরও বায়ুমান খারাপ হচ্ছে কারণ ঢাকার চারপাশে ইটভাটাগুলো সচল। এছাড়াও শহরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় বাতাসে মিহি ধূলিকণার পরিমাণ বেড়েছে।

রাজধানীতে দূষণ কমাতে প্রতিবেশী পাঁচটি জেলায় ইটের ভাটা নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিয়েছেন এই পরিবেশবিদ।

সারাবাংলা/টিএস/আইই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন