কেন এমন ভরাডুবি, জানেন না তামিম

সিনিয়র স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দুই দলের আগের দুই দেখায় জিতেছিল কুমিল্লা। ওই দুই ম্যাচেই কোন দলই ১৭০ পার করতে পারেনি। গতকাল কুমিল্লার সঙ্গে ঢাকা করে ফেলল ১৯১ রান। আর সেটি তাড়া করতে গিয়েই কুমিল্লা অলআউট হয়ে গেল ৯৬ রানে। কুমিল্লা অধিনায়ক তামিম ইকবাল এখনো বুঝতে পারছেন না, কেন এমন ভরাডুবি হলো। তবে বোলারদের ওপর থেকে এখন আস্থা হারাচ্ছেন না।

ঢাকা ১৯১ রান করার পরেই মানসিকভাবে কুমিল্লা ধাক্কা খেয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছিলো কাল সংবাদ সম্মেলনে। কিন্তু তামিম বললেন, ব্যাট করতে নামার সময়েই তারা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।

‘ব্যাটিং করতে নামার সময়েও আমার বিশ্বাস ছিলো এটা তাড়া করার। এমন নয় যে এতো রান কেউ তাড়া করেনি। কিন্তু দ্রুত দুই তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আর হয়নি। এ রকম হয়। কেনো হয়নি, সেটা আসলে বলতে পারবো না। ঢাকা ভালো দল এবং আগ্রাসী ছিলো তারা। তারা ভালো খেলেছে। দেখা যাক ১০ তারিখে আমরা কেমন খেলি,’ বলেন তামিম।

পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে থেকেই কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছিল কুমিল্লা। কিন্তু কোয়ালিফায়ারে সেই ঢাকার সঙ্গেই একেবারেই বিবর্ণ কুমিল্লা। ফাইনালে ওঠার আরেকটা সুযোগ অবশ্য এখনো পাচ্ছে, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে হারালেই ঢাকাকে হারানোর সুযোগ পাবে আরও একবার। তবে কালকের অমন পরাজয়ের পর খুব একটা বিচলিত নন তামিম ইকবাল। একটা খারাপ দিন হিসেবেই দেখতে চান ম্যাচটা।
‘আমি এটাকে খারাপ দিনই বলবো। কারণ আমরা পুরো আসরে যেভাবে খেলেছি, তাতে আমার মনে হয় একটা ম্যাচের কারণে আমি বোলার-ব্যাটসম্যানদের খারাপ বলতে পারি না। তবে আমরা আরো ভালো করতে পারতাম। আর তারা আসলে বেশি ভালো ছিলো। আমাদের বোলাররা বিশেষ করে, তারা খুব ভালো বোলিং করেছে পুরো আসরে। আজ হয়নি।’

রংপুরের সঙ্গে শেষ দেখায় জেতার পরেও উইকেট নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন তামিম। কাল অবশ্য উইকেট নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই তার, ‘উইকেট ভালো ছিলো। ভালো না থাকলে বলতাম। একটা দুইটা বল লো হয়েছে। এটা আসলে হয়। এটা নিয়ে তো আর কান্নাকাটি করতে পারবো না।’

তামিমের দুশ্চিন্তার জায়গা হতে পারে জস বাটলারের ফর্মহীনতাও। দল জিতলেও বাটলার এখন পর্যন্ত বিপিএলে বড় কিছু করতে পারেননি। তামিম ব্যাপারটা দেখছেন ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই, ‘ক্রিকেটে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। জস বাটলার বলেই যে সব সিরিজে বা ম্যাচে ভালো করবে, তা নয়। মানুষের খারাপ দিন আসে। সে ভালো করলে আমাদের ব্যাটিং ইউনিটটা দারুণ হবে। আমরা জানি কতোটা ভালো সে। আমরা আসলে টাকা দিয়ে ভালো খেলোয়াড় আনতে পারবো, কিন্তু পারফর্ম্যান্স পাবো না। ব্যাটসম্যানদের জীবনে এমন দিন আসেই। তা সে জস বাটলার হোক, তামিম ইকবাল হোক বা শচীন হোক।’

গেইল কাল যেমন খেলেছেন, সেটাও স্বাভাবিকভাবেই একটা উদ্বেগের ব্যাপার হওয়ার কথা। তামিম অবশ্য অতশত ভাবতে চাইলেন না।

ও যদি এভাবে দুইশও করে ফেলে আটকানো সম্ভব না! ও আমাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচে দ্রুত আউট হয়ে গেছে। আশা করি পরের ম্যাচেও দ্রুত আউট হবে। সে যদি এভাবে ব্যাটিং করে তাহলে খুব বোলারই আছে, যারা তাকে আটকাতে পারে। ১০ তারিখে যদি আমরা তাদের চেয়ে ভালো খেলি, তাহলে জিততে পারবো। তারা ভালো খেললে তারা জিতবে।’

সারাবাংলা/এএম/এমএম