বিজ্ঞাপন

২ হাসপাতালে পিপিই দিলো গাজীগ্রুপ ও সারাবাংলা

April 19, 2020 | 7:31 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজধানীর দুইটি হাসপাতালে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) দিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গাজী গ্রুপ এবং প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যম সারাবাংলা (sarabangla.net)।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ এপ্রিল) মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এই পিপিইগুলো দেওয়া হয়।

এদিন সকাল ১১টায় মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীনের হাতে ৯৫ সেট পিপিই তুলে দেওয়া হয়। গাজীগ্রুপ ও সারাবাংলা’র পক্ষ থেকে পিপিইগুলো তুলে দেন দৈনিক সারাবাংলা ও সারাবাংলা ডটনেটের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিয়া ফয়সাল হাসান। এ সময় মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুদীপ রঞ্জন দেবসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সারাবাংলার পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সৈকত ভৌমিক।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ডা.  রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি অন্য সবারও এগিয়ে আসা প্রয়োজন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) উদ্যোগ নিয়ে আমাদের জন্য মানসম্মত পিপিই দিয়েছেন। তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। সম্প্রতি সরকার আমাদের হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেই প্রস্তুতিতে সহায়তা করায় গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলাকে ধন্যবাদ। আশা করি সবাই মিলে আমরা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সক্ষম হব।

মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহ গোলাম নবী বলেন, নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের সব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সবার আগে প্রয়োজন। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী যে পিপিই দিয়েছেন, সেগুলো সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। আমরা তার এ উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। তাছাড়া মন্ত্রীর উদ্যোগে যেভাবে গাজী গ্রুপ সবার সহায়তায় এগিয়ে এসেছে, একইভাবে বেসরকারি খাতের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করি। তাহলেই সবাই মিলে সফলভাবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারব।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পিপিই দেওয়া হয় গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলার পক্ষ থেকে। হাসপাতালের পক্ষে পিপিই বুঝে নেন প্রতিষ্ঠানটির রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রউফ। হাসপাতালটির মেডিসিন ও সার্জারি ইউনিটে ৯০ পিস পূর্ণাঙ্গ পিপিই দেওয়া হয়। এসময় ডা. মো. খায়রুল আনাম, ডা. এস এম আব্দুর রাজ্জাক, মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা নাশিদ রাখিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রউফ বলেন, বাংলাদেশে এখন কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমন অবস্থায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের হাসপাতালে আমরা সবসময় শ্বাসকষ্ট, সিওপিডি, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। এসব রোগের উপসর্গ কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যেও দেখা যায়। আর তাই আমাদের এই হাসপাতাল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী পিপিই দেওয়া ‍উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা আরও জেনেছি, তার উদ্যোগেই দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য প্রথম কোনো বেসরকারি আরটি-পিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্ট পলিমারেজ চেইন রিয়্যাকশন) ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে তাই আমি ব্যক্তিগতভাবেও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা আশা করব, দেশের অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও করোনার এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসবে।

বিজ্ঞাপন

ডা. মো. খায়রুল আনাম বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করব, সরকারের পাশাপাশি অন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এভাবে এগিয়ে আসবে।

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা নাশিদ রাখি বলেন, গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলা ডটনেটের এই উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। আমরা গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলাকে ধন্যবাদ জানাই। করোনা মোকাবিলা করতে হলে অন্যদেরও এভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

দৈনিক সারাবাংলা ও সারাবাংলা ডটনেটের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিয়া ফয়সাল হাসান বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সবচাইতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন চিকিৎসকসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাই আমরা তাদের জন্য যতটা সম্ভব পিপিই দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে আজ দুইটি হাসপাতালে পিপিই দেওয়া হয়েছে। আমরা যে পিপিইগুলো দিয়েছি, সেগুলো মানসম্মত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আমরা ভবিষ্যতেও এই উদ্যোগ ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকব।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন