বিজ্ঞাপন

ত্রাণে দুর্নীতি: আরও ৭ ইউপি চেয়ারম্যান, ৩ সদস্য বরখাস্ত

April 23, 2020 | 6:20 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনা সংকটে কর্মহীন শ্রমজীবীদের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও সাত জন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তিন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে একই অভিযোগে বরখাস্ত হলেন মোট ৩৫ জন জনপ্রতিনিধি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ।

সাময়িক বরখাস্ত করা ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন— বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের মো. নূরে আলম বেপারী, ভোলা জেলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মো. মিজানুর রহমান খান, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের মো. মনির রহমান মৃধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের শাহ আল শফি আনসারী, রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের মো. সিদ্দিকুর রহমান মন্ডল, নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের জারজিদ মোল্লা এবং কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন চৌধুরী।

আরও পড়ুন- চাল চুরি: ৪ ইউপি চেয়ারম্যান, ৫ ইউপি সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

বিজ্ঞাপন

সাময়িক বরখাস্ত করা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা হলেন— নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে. মো. রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহিউদ্দিন সোহেল এবং একই উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. লিপি বেগম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটের সময় তাদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাৎ, জাটকা নিধনে বিরত থাকা জেলেদের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল আত্মসাৎ ও কালোবাজারে বিক্রি, সরকারি ত্রাণের চাল ভুয়া মাস্টার রোলে বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, সরকারের বরাদ্দ করা চাল নির্ধারিত পরিমাণে না দেওয়া এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে অন্যদের মধ্যে বিতরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুন- ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম: ৩ ইউপি চেয়ারম্যান ও ৯ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত

বিজ্ঞাপন

ত্রাণ আত্মসাৎ ও বিতরণে অনিয়মের বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আল শফি আনসারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি করোনা সংকটের এই সময় এলাকায় অবস্থান না করে বিনা অনুমতিতে বিদেশ গিয়েছেন। অন্যদিকে নেত্রকোনা জেলার গাঁওকান্দিয়া ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই দুর্যোগের মধ্যেও তিনি ষাঁড়ের লড়াই আয়োজনের মাধ্যমে গণজমায়েত করেছেন, যা জনজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

চেয়ারম্যান ও সদস্যদের এ কর্মকাণ্ড অপরাধমূলক এবং জনস্বার্থ পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য বরখাস্ত

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের কয়েকজন এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। এছাড়া তাদের আলাদা আলাদা করে কারণ দর্শানো নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তাদের পদ থেকে চূড়ান্তভাবে কেন অপসারণ করা হবে না, ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব চওয়া হয়েছে নোটিশে।

বিজ্ঞাপন

করোনা সংকটের এই সময়ে এ নিয়ে মোট ৩৫ জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ১৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ১৯ জন ইউপি সদস্য এবং একজন জেলা পরিষদ সদস্য

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন