বিজ্ঞাপন

সোহরাওয়ার্দী-শিশু হাসপাতালে পিপিই দিলো গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলা

April 23, 2020 | 10:20 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) দিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গাজী গ্রুপ এবং প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যম সারাবাংলা (sarabangla.net)।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. শাহাদাত হোসাইন খানের হাতে পিপিই তুলে দেওয়া হয়। কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের জন্য ভাইস প্রিন্সিপালের হাতে গাজীগ্রুপ ও সারাবাংলা’র পক্ষ থেকে পিপিইগুলো তুলে দেন দৈনিক সারাবাংলা ও সারাবাংলা ডটনেটের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিয়া ফয়সাল হাসান।

এ সময় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ভাইরোলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান খানসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। সারাবাংলার পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সৈকত ভৌমিক।

বিজ্ঞাপন

ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. শাহাদাত হোসাইন খান বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দেশের সব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের এখানে ভাইরোলজি বিভাগের তত্ত্বাবধানে খুব দ্রুতই ল্যাবে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের জন্য নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) উদ্যোগ নিয়ে আমাদের জন্য মানসম্মত পিপিই দিয়েছেন। তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

ভাইরোলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান খান বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চিকিৎসকরা কাজ করে যাচ্ছেন। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে বাংলাদেশে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত হচ্ছেন নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও। সরকারিভাবে পিপিই সরবরাহ করার চেষ্টা করা হলেও সেখানেও আমরা নানারকম অভিযোগ পাচ্ছি। আশা করছি দ্রুত এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যাবে।’

পিপিই’র মান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলার পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই কিছু হাসপাতালে পিপিই দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকেই এই পিপিইগুলোর মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। এগুলো খুবই ভালো মানের পিপিই। আমরা আশা করছি, গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলার মতো অন্যরাও উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসবে সরকারকে সাহায্য করার জন্য। যদি চিকিৎসকরা নিরাপদে থাকে তবে বাংলাদেশের মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। মাননীয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর উদ্যোগে দেওয়া এই পিপিই গুলোর জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

বিজ্ঞাপন

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলার পক্ষ থেকে পিপিই তুলে দেওয়া হয় হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার হাতে। তিনি বলেন, ‘গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলার পক্ষ থেকে যে পিপিই গুলো দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত মানসম্পন্ন। এগুলো চিকিৎসকদের সুরক্ষায় কাজ করবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে এই মানসম্পন্ন পিপিই দেওয়ার জন্য মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলাদেশে সরকার কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলার মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম যদি এভাবে মানসম্পন্ন পিপিই দিয়ে সাহায্য করে তবে আমরা খুব দ্রুতই এই কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জেনেছি, তার উদ্যোগেই দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য প্রথম কোনো বেসরকারি আরটি-পিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্ট পলিমারেজ চেইন রিয়্যাকশন) ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি অসামান্য একটি উদ্যোগ। তার মতো অন্যরা এগিয়ে এলে আমাদের জন্য করোনা মোকাবিলা আরও সহজ হবে।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিশু হাসপাতালের পরিচালক শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শফি আহম্মেদের হাতে পিপিই তুলে দেওয়া হয় গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলার পক্ষ থেকে। এ সময় শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান ও ভাইরোলজিস্ট ডা. কিঙ্কর ঘোষসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ডা. সৈয়দ শফি আহম্মেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় বেসরকারিভাবে মানসম্পন্ন পিপিই নিয়ে এগিয়ে এসেছেন মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। উনার উদ্যোগে গাজী গ্রুপ ও সারাবাংলা যে পিপিই গুলো আমাদের হাসপাতালে দিলো তার জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা।

শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি রোগীদের সেবা দিয়ে যেতে। এখানে একটি ল্যাব আছে যেখানে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা বিবেচনা করে মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী যেভাবে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে তাতে উনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।’

দৈনিক সারাবাংলা ও সারাবাংলা ডটনেটের মহাব্যবস্থাপক (জি এম) মিয়া ফয়সাল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সবচাইতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন চিকিৎসকসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাই আমরা তাদের সুরক্ষায় যতটাসম্ভব সহায়তা করতে চাই। এরই অংশ হিসেবে গতকাল আমরা এর আগে তিনটি হাসপাতালে পিপিই দিয়েছি। আজও তিনটি হাসপাতালে পিপিই দেওয়া হয়েছে।’

মিয়া ফয়সাল হাসান আরও বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই আমরা মানসম্মত পিপিই চিকিৎসকদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে আমরা অন্য হাসপাতালগুলোতেও পিপিই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।’

সারাবাংলা/এসবি/একে

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন