বিজ্ঞাপন

কিমের স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ দিতে উ. কোরিয়ায় চীনের চিকিৎসক দল!

April 25, 2020 | 5:46 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জন উনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দিতে দেশটিতে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে চীন। কিম জং উন মারাত্মক অসুস্থের খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর চীনের এ চিকিৎসক দল পাঠানোর খবর এলো। তবে চীন এ ব্যাপারে সরকারি কোন বিবৃতি দেয়নি। চীনের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর সংবাদ সংস্থা রয়টার্স প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক লিয়াজো বিভাগের শীর্ষ নেতা বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে বেইজিং ত্যাগ করেন। তার সঙ্গে রয়েছেন একদল চিকিৎসক। চীনের পররাষ্ট্র বিভাগের এ নেতা উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ের দেখভাল করেন।

তবে রয়টার্স দাবি করেছে, চীনের ওই সূত্র এ সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য দিতে রাজি হয়নি। এমনকি তাৎক্ষণিক চেষ্টায় লিয়াজো বিভাগের কোন নেতারও মন্তব্য সংগ্রহে করা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে স্থানীয় পত্রিকা ডেইলি এনকে অসমর্থিত সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল– গত বছরের আগস্ট থেকেই কিম জং উন হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন, কিন্তু পায়েকতু পাহাড় থেকে ঘুরে আসার পর থেকে তার সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়। এ সংবাদের পর উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর অসুস্থ হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে। উত্তর কোরিয়া সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকায় তার অসুস্থতার খবরের সত্যতা যাচাই একরকম অসম্ভব। অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য জানতে তদন্ত শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সূত্র জানায়, কিমের অসুস্থতার খবর সত্য নয়।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমি মনে করি কিমের অসুস্থতার খবরটি সত্য নয়'। এদিকে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, কিম জং উন জীবিত আছেন। শীঘ্রই তিনি জনসম্মুখে উপস্থিত হবেন। তবে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোন তথ্য জানাতে রাজি হয়নি ওই সূত্র।

বিজ্ঞাপন

তবে উত্তর কোরিয়ায় চীনের চিকিৎসক দল পাঠানোর খবরটি রয়টার্স প্রকাশ করার পর কিমের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ফের জল্পনা বাড়ল। উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কিমের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোন খবরের প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

উল্লেখ্য, এপ্রিলের ১৫ তারিখ কিম জং উন তার দাদার জন্মদিনে জাতীয় উৎসবে এবং উত্তর কোরিয়ার মিসাইল উৎক্ষেপনের সময় উপস্থিত না থাকায় তার অসুস্থতার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেছিল। ৩৬ বছর বয়েসি কিম জং উন প্রায় এক মাস ধরে জনসম্মুখে আসছেন না। তবে জনসম্মুখে না আসার এমন প্রবণতা কিম জং উনের নতুন নয়। এর আগে ২০১৪ সালে কয়েক মাস কোন মিডিয়ায় দেখা যায়নি কিম জং উনকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন