বিজ্ঞাপন

রিকশাওয়ালার দুঃসময়ে এগিয়ে এলো ‘স্বপ্ন’

April 26, 2020 | 4:11 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: পুরো নাম মো. শাহাদাত হোসেন (হিরু)। পেশায় রিক্শা চালক। মিরপুরে থাকেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে দৈনন্দিন জীবনের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে থাকেন তিনি। বেশ কষ্টে দিন পার করছিলেন। রিকশা নিয়ে বের হলেও ভাড়া তেমন পেতেন না। সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এই দুঃসময়ে তার এসব কষ্টের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয় একটি ভিডিওর মাধ্যমে। ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিওটি দেশের বৃহৎ সুপারশপ চেইন স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপরই খুঁজে বের করা হয় সেই রিকশা চালককে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ এপ্রিল) স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির সেই রিকশা চালক শাহাদাতের সঙ্গে কথা বলে অফিসের নিজস্ব কার্যালয়ে তার হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।

এ সময় সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ভিডিওটি দেখেই মনে হচ্ছিল যে, উনার জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগত। ‘স্বপ্ন’ এর আগে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের চাকরির ব্যবস্থা করেছে। আর সমাজের অবহেলিত মানুষদের জন্য অনেকদিন থেকেই কাজ করছে ‘স্বপ্ন’। বলতে গেলে অনেকটা দায়বদ্ধতা থেকেই এই রিকশা চালকের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করা। উনার জন্য এটুকু করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। স্বপ্ন’র মানবসম্পদ বিভাগ থেকে জানা যায়, মিরপুর ১ নাম্বারে থাকা সেই রিকশা চালক শাহাদাত হোসেন এখন থেকে মিরপুর জোনেই নিয়মিত ডেলিভারির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

চাকরি পাবার পর আবেগে আপ্লুত হয়ে রিকশা চালক শাহাদাত হোসেন বলেন, এমন দুঃসময়ে চাকরি পাবো। এটা ভাবতেও পারিনি। কাজটাও আমার জন্য সহজ। আমি অনেক আগে থেকেই রিকশা চালাই। এখন থেকে রিকশাতে করে স্বপ্নের বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারিম্যানসহ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ায় হবে আমার কাজ। তাই এ কাজটি পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত। এমন চাকরির সুযোগ পেলে অনেকের ঘরে আর দুঃখ-কষ্ট থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, স্বপ্নই দেশের প্রথম রিটেইল চেইন, যারা প্রতিবন্ধী মানুষদের নিয়োগ দিয়েছে এবং এ প্রতিষ্ঠানে তাদের চাকরির ১০ শতাংশ কোটা রয়েছে।

সারাবাংলা/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন