April 29, 2020 | 3:18 am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতে সংকটাপন্ন কোভিড-১৯ রোগীদের স্বেচ্ছায় প্লাজমা দান করছেন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা তাবলিগ জামাতের সদস্যরা। ইতোমধ্যেই ২০০ তাবলিগ সদস্য প্লাজমা সংগ্রহের জন্য রক্তদান করেছেন। আরও কয়েকশ সদস্য প্লাজমা দানের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন। খবর আউটলুক।
এর আগে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে যারা ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, সংকটাপন্নদের বাঁচাতে এগিয়ে আসুন, কে জানে হয়তো হিন্দুর প্লাজমা নিয়ে মুসলিম বা মুসলিমের প্লাজমা নিয়ে হিন্দু সেরে উঠে নতুন জীবন পেতে পারে।
কেজরিওয়ালের ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানায় ইতোমধ্যে দুই শতাধিক করোনাজয়ী তাবলিগ জামাতের সদস্য সংকটাপন্ন কোভিড-১৯ রোগীকে স্বেচ্ছায় প্লাজমা দান করেছেন। যেসব রাজ্যে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য প্লাজমা ট্রান্সফার এখনও অনুমোদিত হয়নি, সেসব রাজ্য যেমনঃ তামিল নাড়ুতে ৪৫০ তাবলিগ জামাতের সদস্য স্বেচ্ছায় প্লাজমা দানের জন্য নাম লিখিয়েছেন।
भगवान ने जब दुनिया बनाई थी तो उन्होंने इंसान बनाए थे, दीवारें तो हमने बनाई।
বিজ্ঞাপনअगर हमारे देश के सब लोग मिलकर प्यार मोहब्बत से काम करेंगे तो हमारे देश के आगे सारी दुनिया को झुकना पड़ेगा। pic.twitter.com/AZXACJBERl
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) April 26, 2020
এ ব্যাপারে দিল্লি রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্লাজমা সংগ্রহের প্রধান সমন্বয়ক ডা. শোয়াইব আলি জানিয়েছেন, রমজান মাসে ইফতারের পর তাবলিগ জামাতের সদস্যরা এসে রক্তদান করছেন, আমরা সেখান থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে সংকটাপন্নদের শরীরে সরবরাহ করছি।
তিনি আরও বলেন, রক্তদান করার অন্তত ১৪ দিন আগে কোভিড-১৯ টেস্টে নেগেটিভ হয়েছেন কিন্তু তারও আগে আক্রান্ত ছিলেন এমন ব্যক্তির শরীর থেকে রক্ত নিয়ে তা থেকে ১০০ এমএল প্লাজমা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মানো ওই প্লাজমা দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তদের শরীরে। এ প্রক্রিয়ায় ৪০ মিনিট সময় লাগছে।
এদিকে, তাবলিগ জামাতের একাংশের নেতা মওলানা মুহাম্মাদ সাদ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা তাবলিগ সদস্যদের সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেনো সম্ভব হলে সবাই প্লাজমা দান করেন।
প্রসঙ্গত, ভারতে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজে অবস্থান নেওয়া দুই হাজার তাবলিগ সদস্যের মধ্য থেকে সাত শতাধিক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন। ভারতে করোনাভাইরাসের গণসংক্রমণ ঠেকাতে আরোপিত লকডাউনের মধ্যে তাবলিগ জামাতের সদস্যদের এমন আচরনের প্রেক্ষিতে ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক ও ঘৃণাজীবী আক্রমণ এবং নিন্দার মুখে পড়েছিল তাবলিগ জামাত।
আরও পড়ুন –
সারাবাংলা/একেএম